আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘মা–বাবা আমাকে ক্ষমা করো’। সুইসাইড নোটে এটুকু লিখেই চরম পদক্ষেপ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর।
পরীক্ষা খারাপ হওয়ার আত্মঘাতী হল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা ওই ছাত্রী জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়েছিল। মঙ্গলবার পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। ১৮ বছরের ওই যুবতীর ফল ভাল না হওয়ায় চরম পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়। বুধবার দুপুরে হস্টেলের ঘরে যখন একা ছিল, তখন আত্মহত্যা করে যুবতী।
ওই পড়ুয়া মা–বাবার জন্য একটি চিঠিও লিখে গিয়েছে। তাতে লেখা, ‘সরি, মাম্মি–পাপা। আমায় ক্ষমা করে দিও। আমি পারলাম না। যাত্রা এখানেই শেষ হল। তোমরা কেঁদো না। তোমরা দু’জনই আমায় অগাধ ভালবাসা দিয়েছো। আমি তোমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না।’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিন আগেই বাড়ি ফিরেছিল ওই ছাত্রী। ফের হস্টেলে ফিরে যায়। বুধবার সকালে সে তাঁর বাবাকে ফোন রিচার্জ করে দিতেও বলে। সেই সময়ই বাবাকে বলেছিল যে তাঁর খারাপ ফলের কথা যেন কাউকে না জানায়। যুবতীর বাবাও আশ্বস্ত করেছিল যে এত ভেঙে পড়ার কিছু নেই। পরেরবার পরীক্ষা ভাল হবে। কিন্তু ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই যে তাঁর মেয়ে এমন ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নেবে, তা কল্পনাও করতে পারেনি।
যুবতীর সহপাঠীরা দীর্ঘক্ষণ দরজা বন্ধ দেখেই ওয়ার্ডেনকে খবর দেয়। তারপর দরজা ভেঙে দেখা যায়, ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গোরক্ষপুরের এক কোচিং সেন্টারে দু’বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিল সে। হস্টেলে থাকত এক সহপাঠীর সঙ্গে ঘর শেয়ার করে। বন্ধু যখন ঘরে ছিল না, তখনই এই কাণ্ড ঘটায় পড়ুয়াটি।
