আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাতে রক্তের দাগ। জামাতেও লেগে রয়েছে রক্ত। ওই অবস্থায় থানায় পৌঁছল ৪০ বছর বয়সি এক যুবক। থানায় কাঁপতে কাঁপতে সে যা বলল, তা শুনেই রীতিমতো শিউরে উঠল পুলিশ। দ্রুত তার সঙ্গেই পৌঁছল বাড়িতে। ঠিক কী ঘটেছে?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরায়। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার আমতলি থানার অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দা শ্যামল দাস ও স্বপ্না। রবিবার স্ত্রীকে খুন করছিল শ্যামল। সারারাত স্ত্রীর দেহের সামনে বসেওছিল। পরেরদিন দুপুরে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে। কাঁদতে কাঁদতে জানায়, স্ত্রীকে সে খুন করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে স্বপ্নার সঙ্গে তুমুল ঝামেলা হয় শ্যামলের। বাকবিতণ্ডার মাঝে হঠাৎ স্বপ্নার মাথায় আঘাত করে খুন করে সে। ঘরের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্ত্রীর দেহের পাশে, রক্তস্রোতের মধ্যেই বসে সারারাত কাটিয়ে দেয় শ্যামল। পরেরদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ থানায় পৌঁছে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে সে।
ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে স্বপ্নার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তড়িঘড়ি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। অন্যদিকে শ্যামলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত জারি রেখেছে তারা।
