আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাস্তাঘাটে কতরকমের লোক দেখতে পাওয়া যায়। তাঁদের কাহিনি শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে আপনারও। এবার সন্ধান পাওয়া গেল এমনই এক পাঁপড় পুরুষের। এঁর বাড়ি ওড়িশায়। 

 

 

কে তিনি? কী তাঁর পরিচয়? জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির পুরো নাম চক্রধর রানা। বছর ৫০ এর ওই যুবক ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাসিন্দা। বিগত এতগুলো বছর ধরে তিনি স্থানীয় বাজারে পাঁপড় বিক্রি করে পরিবারকে সাহায্য করে আসছেন। পাঁপড় বিক্রির জন্য প্রতিদিন তাঁকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার রাস্তা হাঁটতে হয়। প্রতি পাঁপড় পিছু তিনি বিক্রয়মূল্য রাখেন মাত্র ১০ টাকা। 

 


কীভাবে হয়েছিল এই যাত্রা শুরু? পাঁচ দশক আগে যখন তিনি পাঁপড় বিক্রেতা হিসেবে প্রথম যাত্রা শুরু করেন তখন তিনি প্রতি পাঁপড় মাত্র পাঁচ পয়সায় বিক্রি করা শুরু করেছিলেন। বছরের পর বছর ধরে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তাই সেই পাঁচ পয়সায় পাঁপড়ের দাম আজ হয়ে দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা। তাঁর এলাকার সকলেই বাচ্চা থেকে বুড়ো তাঁকে চেনেন পাঁপড়ওয়ালা বলে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর নাম এলাকার লোকেরা তেমন ভাবে জানেন না। তিনি নিজেও এলাকার সকলের পাশাপাশি বাচ্চাদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়। 

 


এই ব্যক্তি খুবই সাদামাটা জীবন যাপন করেন। সবসময় পরনে থাকে সাদা শার্ট আর সঙ্গে হাফ প্যান্ট। ওখানকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, রানাকে শুধুমাত্র তাঁর পাঁপড়ের জন্যই নয়, মানুষ চেনেন ভাল ব্যবহারের জন্যও। তিনি প্রায় ৭০-৮০ টি বাজারে তাঁর পাঁপড় বিক্রি করেন। বৃষ্টি হোক বা রোদ উঠুক। মুখে এক গাল হাসি ঝুলিয়ে তাঁকে দেখা যাবে হাঁক পাড়তে, পাঁপড় নেবে গো পাঁপড়।