আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে স্বভাব যায় না মোলে। পাবলিক প্লেসে আচরণের ক্ষেত্রে বারবরই পিছিয়ে ভারতীয়রা। বিদেশেও ভারতীয়দের সিভিক-সেন্স নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। কোনও বিদেশি নয়, প্রশ্ন তুলেন অন্য এক ভারতীয়ই! ঘটনা ফিনল্যাগামী এক ট্রেনের।
গোকুল শ্রীধর, থাকেন জার্মানিতে। সম্প্রতি তিনি এক্স হ্যান্ডে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানেই ভারতীয়দের সিভিক সেন্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শ্রীধর। আসল ঘটনা হল, ফিনল্যান্ডগামী ট্রেনে ছিলেন গোকুল শ্রীধর। অপর প্রান্তের কেবিনে ছিলেন ভারতীয় পর্যটকরা। গোকুলের অভিযোগ, তাদের কেবিনের দরজা খোলা ছিল। এই অবস্থায় শান্ত ট্রেনের মধ্যে তারস্বরে চিললে চিললে ভিডিও কলে কথা বলচ্ছিলেন এক ভারতীয়। যা কার্যত সহ্যের সীমা অতিক্রম করছিল।
এক্স পোস্টে শ্রীধর লিখেছেন, "আমি ল্যাপল্যান্ড থেকে হেলসিঙ্কি যাওয়ার ট্রেনে আছি। উল্টোদিকে একটি পরিবার আছে। তারা খুব জোরে, ভিডিও কলে কারও সঙ্গে কথা বলছে। হিন্দিতে। সঙ্গে তাদের কেবিনের দরজা খোলা। আসলে আমাদের সিভিক সেন্সই নেই... তাই না?"
I'm on a train from Lapland to Helsinki and there's one family in the otherwise ULTRA QUIET carriage that's being very loud, talking to someone over a video call. In Hindi. With their cabin doors open.
— Gokul ⚡️ (@gokulns)
We REALLY don't get civic sense, do we?Tweet by @gokulns
পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গে, একজন লিখেছেন, "অনেকগুলি পাবলিক স্পেসেই একই অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার।" অন্য একজন লিখেছেন, "পুরো ইউরোপ জুড়ে একই গল্প। শুধু ভারতীয় নয়, দক্ষিণ এশীয় এবং আফ্রিকানরাও একই কাজ করে। স্কুলগুলিতে সিভিক এডুকেশন দেওয়া হয় না।" অপর একজন বলেছেন, "ব্রিটেনে এসব হামেশাই দেখা যায়।" অনেকের মতে, "লন্ডনে অনেকবার এসব দেখেছি এবং হ্যাঁ এগুলো ভয়ঙ্কর।"
এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। ভারতীয়রা বহুবার পাবলিক স্পেসে তাদের আচরণ এবং ভ্রমণের সময় কিছু সামাজিক নিয়ম উপেক্ষা করার জন্য সমালোচিত হয়েছে। সম্প্রতি ভারত থেকে থাইল্যান্ডের একটি ফ্লাইটে, একদল ভারতীয়কে দাঁড়িয়ে গল্প করতে দেখা গেছে। গল্পে তারা এতই মশগুল ছিল যে, অন্যান্য যাত্রী এবং ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের চলার জন্য করিডোর ব্লক হয়ে গিয়েছিল।
