বৃহস্পতিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

দেশ | গণতন্ত্র রক্ষায় সফল ভারত, কেন পারছে না বাংলাদেশ?

RD | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩ : ০৬Rajit Das

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার করেছে ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স ৫০ বছর। বহু ভারতীয়র প্রশ্ন, গণতন্ত্র ধরে রাখতে ভারত সফল হলেও কেন পারছে না তার পড়শি দেশটি? কেন বারে বারে বাংলাভাষী এই রাষ্ট্রে সামরিক শাসন জারি করতে হয়? 

ঔপনিবেশিক শাসন থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতার পর ভারত পরিচালনায় তার কোনও কুপ্রভাব তেমনভাবে পড়েনি। তর্কের খাতিয়ে যদি ধরে নেওয়া হয় যে, বহু জাতি, ভাষা এবং সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় সমাজে গণতন্ত্রের যেকোনও ধরনই আগোছালো- তবে ভারতীয়দের বাহবা দিতেই হবে। 

ডজন ডজন বিষয়ের প্রকেষিতে এই তুলনা চলে। তবে প্রশ্ন, আমরা কি এখানে কমলার সঙ্গে আপেলের তুলনা করছি? যদি তাই হয়, তাহলে ফলাফল হতে পারে যে কমলা ভালো। কিন্তু এভাবে বেশিরভাগ সংবেদনশীল তুলনাই দুর্বলতা দোষে দুষ্ট। পদ্ধতির ত্রুটির কারণেই এক্ষেত্রে, বাংলাদেশকে খুব খারাপ আলোতে দেখা হবে। যাই হোক না কেন, আমরা যদি আমাদের পদ্ধতিগত অস্বস্তিকে মুহুর্তের জন্য একপাশে রেখে তুলনাটি ফের দেখি, তাহলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে নিম্নলিখিতগুলি বিবেচনা করতে পারি। 
 
১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগের সময়, বৃহত্তম উত্তরসূরি দেশ হিসাবে ভারত বেশিরভাগ বেসামরিক পরিকাঠামো এবং সম্পদে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু পাকিস্তান এবং ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ সেভাবে এই ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ছিল না। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং সম্পদের দিক থেকেও, ভারতের সুবিধা ছিল, যার ফলশ্রুতিতে ভারত তার নেহেরু পরিচালিত নীতির মাধ্যমে একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণী তৈরি করতে পেরেছিল। নবগঠিত ভারত এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির আকাঙ্খা পূরণে কর্মসংস্থান দিতে সক্ষম হয়েছিল। শিল্প, রেল, উদীয়মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং পরে ক্রমবর্ধমান বাজার-চালিত কর্পোরেট বিশ্বে ভারতীয়দের কর্মসংস্থান আশীর্বাদস্বরূপ।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল- হিন্দুরা প্রতিযোগিতার বাজার থেকে সরে দাঁড়াবে বলে যেসব মুসলিম অভিজাতরা ভারত থেকে তৎকালীন পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন, তাঁরা দ্রুত জানতে পেরেছিলেন যে- এইসব নয়া দেশে সামরিক বাহিনী ছাড়া রাষ্ট্রে শ্রেণী অগ্রগতির বহু পথ রুদ্ধ। শিল্প বিকাশের দুর্বলতা, পেশায় বৈচিত্র্যের অভাব এবং পণ্য ও পরিষেবার পরিকাঠামো তৈরির চেয়ে আমদানিতে বেশি আগ্রহী ছিল রাষ্ট্র নেতৃত্ব। ফলস্বরূপ, সামরিক বাহিনী সেসব দেশের অভিজাত স্বার্থের একমাত্র স্বার্থবহনকারী হয়ে ওঠে। এই কারণেই সামরিক প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিকভাবে অভিজাতদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। আমরা যদি স্বাধীনতার পরে দীর্ঘ সময় ধরে সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে যাওয়া রাষ্ট্রগুলির প্রকৃতি বিবেচনা করি তবে এটি আরও স্পষ্ট হয়। বাংলাদেশ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের উত্তরাধিকারী, এছাড়াও পাকিস্তানি দমন-পীড়নের উত্তরাধিকারী। ফলে জন্মগতভাবেই বাংলাদেশ গণতন্ত্রবিরোধী হওয়ার দিকে এগিয়েছে।

বিপরীতে, আগেই সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারতীয় অভিজাত এবং মধ্যবিত্তদের শ্রেণীস্বার্থ প্রকাশের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর উপর নির্ভর করতে হয় না। অপর্যাপ্ত হলেও সুযোগের আধিক্য মধ্যবিত্তদের জন্য বিভিন্ন পেশা এবং বৃত্তির বিভিন্ন দিক অন্বেষণে কার্যকর হয়েছে। ভারতীয়রা আশাহত হননি। রাজনৈতিক প্রশাসনের প্রতি সামরিক বাহিনীর অধীনতা (বেশ কিছু দুর্বলতা সত্ত্বেও) একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ভারতীয় নেতাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে ভাষা, ধর্ম, বর্ণের পার্থক্য সত্ত্বেও সংসদীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশাল বৈচিত্র্যকে একসুতোয় বাঁধার রাজনৈতিক ক্ষমতা কায়েম হয়েছে। বহু ভাষা, শ্রেণি, ধর্ম, বর্ণের স্তরবিন্যাস ভারতীয় গণতন্ত্রকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতেই দ্রুত একবার আফ্রিকা মহাদেশের দিকে তাকানো যাক। দেশগুলি দীর্ঘ ঔপনিবেশিক দমন-পীড়ন থেকে শক্তিশালী ঔপনিবেশিক বিরোধী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছিল। সেসব দেশের সংগ্রামের দরুন একাধিক ক্যারিশম্যাটিক নেতা বিশ্ব-দরবারে পরিচিতি পেয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে ছিল জনসমর্থন। কিন্তু তাঁরাই শেষ পর্যন্ত শাসন ব্যবস্থাকে স্বৈরাচারে পরিণত করেছিল। গণতান্ত্রিক সংগ্রামের লাভকে অস্বীকার করেছিল। অতএব আমরা এই উপসংহারে পৌঁছাতে পারি যে, গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ট্র্যাক রেকর্ড ভারতের সঙ্গে তুলনীয় নয়। তবে, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে উদ্ভূত বিশ্বের অন্যান্য অংশের দেশগুলির সঙ্গে তুলনা করলে তা হবে ন্যায্য। 

উপমহাদেশ আমাদের সকলের জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ শিক্ষা। রাজনৈতিক অভিজাতরা রক্ষণশীলতাকে ভিত্তি করে প্রচোলিত ব্যবস্থাকে রক্ষার চেষ্টা চালাবে। এইভাবে স্থিতিশীলতা বজায়ের চেষ্টা চলবে। এক্ষেত্রে ধর্মই হবে সেরা কৌশল। তবে,সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ভালোভাবে পরিচালিত হলে অর্থনীতি ও সমাজের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় ক্ষমতা আছে। প্রকৃত বিপদসমুহ যেমন- কর্মসংস্থান, খাদ্য, আশ্রয় এবং সুযোগের অভাব থাকলেও ভিন্নমতকে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করে। এর মধ্যেই জনগণের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং গণতন্ত্রকে ভেঙে ফেলার সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্রকে খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশের দুর্দশা সাম্প্রদায়িক অবস্থানের কারণে। আমরা যদি সতর্ক না হই তবে এই অবস্থা আমাদেরও হতে পারে। সাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার মড়ক আমাদের আঁকড়ে ধরলে ঘোর বিপদ। কারণ আমরা কখনই যেন ভুলে না যাই যে, সার্বভৌমত্ব আমাদের আলাদা করেছে, কিন্তু বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আমরা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত।

(লেখক পরিচিতি- শ্রী সুরজিৎ সি মুখোপাধ্যায়, ডিন - স্কুল অফ সোশ্যাল সায়েন্স, সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি)

 


নানান খবর

এবার শিক্ষিত বেকারদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা ভাতা! বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

মার্কিন শুল্ক দ্রুত প্রত্যাহার হতে পারে! কেন এমন কথা বললেন ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা

ভোট চুরির প্রশ্নে রাহুলের 'তিনটি' এটম বোমা: গোদাবাই, সূর্যকান্ত, নাগরাজ

তিন বছরের মেয়েকে ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়েছিল, ঘুমন্ত শিশুকে কোলে নিয়ে লেকে ভাসিয়ে দিল মা! খুনের কারণ শুনে শিউরে উঠল পুলিশ

ভারত ঘনিষ্ঠ কারকি পদে বসতেই ফোন মোদির! কী কথা হল দু' জনের?

পেট্রোল-ইথানল মিশ্রণ ২০% এর বেশি বাড়বে না: হরদীপ সিং পুরী

গুজরাটে নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণে অচলাবস্থা: সিএজি’র কড়া রিপোর্টে বিস্ফোরণ!

দেশের বিভিন্ন স্থানে চা, পকোড়ার স্টল দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ মোদির জন্মদিনে ‘‌বেরোজগারি দিবস’‌ পালন যুব কংগ্রেসের

সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ নিয়ে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি ধ্বংসের আশঙ্কা: আসাদুদ্দিন ওয়াইসি

'তুমি তো কোনওদিন মা হতে পারবে না', রাজস্থানে মহিলার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা

সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান, নতুন ভিডিও নিয়ে চাঞ্চল্য তুঙ্গে

যোগীরাজ্যের রক্ষকই ভক্ষক! বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ, অপমানে নিজেকেই শেষ করল নাবালিকা

দু'বার কামড়ালেই যাবজ্জীবন! পথকুকুরদের শায়েস্তা করতে কড়া নিয়ম জারি উত্তরপ্রদেশ সরকারের

কাদায় ভরা রাস্তা, এল না অ্যাম্বুল্যান্স, মাঝ রাস্তায় সন্তান প্রসব তরুণীর, এই রাজ্যে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা

বিমানে আয়েস করে বসেই সিগারেটে সুখটান! আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভাইরাল বছর তিনেক আগের ভিডিও, কেন জানেন? 

কোন নায়কের থেকে ছিনিয়ে ‘দবাং’ হয়েছিলেন সলমন খান? বোমা ফাটালেন ছবির পরিচালক!

হ্যান্ডশেক কাণ্ডের মধ্যেই নতুন বিতর্ক, কিটস দুর্নীতির অভিযোগ পিসিবির বিরুদ্ধে

গাজা শহরে ইজরায়েলি আগ্রাসন: মৃত্যু ৬৫ হাজার ছাড়াল, জাতিসংঘ ঘোষণা করল গণহত্যা

সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটিতে চতুর্থ ন্যাশনাল মিডিয়া কনক্লেভের উদ্বোধন, তিন দিনে উঠে আসবে শতাধিক গবেষণাপত্র

'ও টিম ইন্ডিয়ার পছন্দের...', প্রাক্তন পাক অধিনায়কের নিশানায় এই বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব, এশিয়া কাপে নাটক আর থামছে না

রাস্তায় ‘এমার্জেন্সি’? সুলভ শৌচাগারে না গেলেই নয়! সংক্রমণ এড়াতে কী কী মাথায় রাখবেন, রইল তালিকা

নীরবতা না শীৎকার? সঙ্গমের সময় কোনটি বেশি যৌন আনন্দ দেয়? বিজ্ঞান কী বলছে?

সূর্যকে নোংরা ভাষায় আক্রমণ, 'অশিক্ষিত' বলে ইউসুফকে পালটা দিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার

কোনও মেয়ের থেকে ‘এই’ বিষয়ে প্রথম ‘না’ শুনলেন রণবীর কাপুর! নেপথ্যে হাত রয়েছে শাহরুখ-পুত্রের?

কলা খেয়ে ফেলে দিচ্ছেন খোসা! কোন কোন রোগ সারায় জানলে আর এই ভুল করবেন না, রইল কাজে লাগানোর টিপস

কীভাবে ইপিএস থেকে মাসে ৭৫০০ টাকা করে পেনশন পাবেন, রইল বিস্তারিত সূত্র

ফোনের পর্দাই মনের আয়না? মোবাইলের ওয়ালপেপার দেখেই বলে দেওয়া যায় মানুষের চরিত্র?

খেলা ঘুরল টিআরপি-র! প্রথম স্থান থেকে ফের ছিটকে গেল ‘পরীণিতা’, সেরার মুকুট কার মাথায়

পৃথিবীতে ফিরছে ডোডো পাখি, সফল হল এই যুগান্তকারী গবেষণা

দুবাইয়ে উঁচু ক্যাচ ধরতে হার্দিকদের আর সমস্যা হচ্ছে না, এই সমস্যার সমাধান হল কীভাবে জেনে নিন

এএফসি-২ খেলতে যাওয়ার আগে সমস্যায় মোহনবাগানের চার বিদেশি, গতবছরের ছবি এবারও

রাজনীতি এবং ক্রিকেট একসঙ্গে চলতে পারে না', দাবি পিসিবি প্রধানের

গরম জল না ঠান্ডা জল? কোনটিতে স্নান করলে উপকার বেশি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

ব্যক্তিগত পরিসরে অসাধারণ, কিন্তু সবার সামনে কঠোর? ‘ইন্ট্রোভার্ট’ বা ‘এক্সট্রোভার্ট’ নন, আপনি ‘ওট্রোভার্ট’!

টালবাহানার শেষে বলিউডে পা রাখছেন কাজল-কন্যা? তারকাসন্তানের হাত ধরেছেন সেই করণ জোহর?

আমিরশাহি ম্যাচ খেলা নিয়ে মুখ খুললেন পাক পেসার, ভারত ম্যাচের আগে যা বললেন শুনলে চমকে যাবেন

বনি-অনিলের মতো সফল হতে পারেননি! কোন সুন্দরী নায়িকার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে মন ভাঙে সঞ্জয়ের?

একসময়ের ‘শেষ ভরসা’ এখন সকলের ‘লাইফলাইন’, কীভাবে তৈরি হল এই পরিস্থিতি

‘স্পিরিট’-এর পর এবার ‘কল্কি’-র সিক্যুয়েল, ফের প্রভাসের ছবি থেকে বাদ দীপিকা! হচ্ছেটা কী?

সোশ্যাল মিডিয়া