আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুলি করেছে দুষ্কৃতীরা। পেটে এসে লেগেছে সেই গুলি। তা নিয়েই যাত্রীদের নিয়ে মাইলের পর মাইল গাড়ি চালালেন গাড়ির সাহসী চালক। চালকের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল যাত্রীদের। ঘটনাটি বিহারের। 

 

 

ঠিক কী ঘটেছিল? বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বিহারের ভোজপুরে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই চালক সন্তোষ সিং। গাড়িতে ছিলেন প্রায় ১৪-১৫ জন যাত্রী। একটি অনুষ্ঠান সেরে সেখান থেকে ফিরছিলেন সকলে। হঠাৎই দুটো বাইকে করে দুষ্কৃতীরা তাদের তাড়া করে। দুষ্কৃতীদের হাতে ছিল বন্দুক। এমনকী গুলিও চালায় তাঁরা। সেই গুলি এসে লাগে সন্তোষের পেটে। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। ভিজে যায় পেটের চারপাশ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গাড়ির মধ্যে থাকা যাত্রীরা। কিন্তু সেসবে ভ্রুক্ষেপ না করে তিনি গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। এরপর একটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান গাড়িটি। গাড়ি থামালে তার মধ্যে থাকা যাত্রীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্তোষ সিংকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

 

 


জখম অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তি করে দেওয়া হয় তাঁকে। সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচার করে সন্তোষ সিংয়ের পেট থেকে গুলি বের করা হয়েছে। সেখানকার সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার রাজীব চন্দ্র সিং বলেছেন, ওই চালক বিপদমুক্ত। তবে এখনও কিছু দিন তাঁকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুলেটের আঘাতে সিংয়ের পুরো অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তাঁকে এখন হাসপাতালেই থাকতে হবে। 

 

 


সন্তোষ সিংয়ের পরিবারের তরফে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে ওই অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ওই দিনই ওই এলাকায় আরও একটি গাড়ির ওপর হামলা চালায় ওই দুই অভিযুক্ত। পুলিশ অভিযুক্তদের স্কেচ তৈরি করেছে। পাশাপাশি তাদের পরিচয় জানতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য চেয়েছে। অন্যদিকে, গাড়ির যাত্রীরা এমন একজন চালকের পরিচয় পেয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নইলে কী ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারত তা ভেবে শিউরে উঠছেন সকলে।