আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে বর্ডার পোস্ট বিজয়পুরের সেনারা বি.এস.এফ-এর গোয়েন্দা বিভাগের তরফে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কৃষ্ণগঞ্জ পুলিশ এবং রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিআরআই) এর দলগুলির সাথে সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়। ৩০ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর, দুইদিন যৌথ অভিযানের সময়, নদিয়া জেলার সীমান্ত গ্রাম বিজয়পুরে তল্লাশি চলাকালীন মোট ২৬টি সোনার বিস্কুট এবং ৮টি সোনার চুড়ি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের সময় একটি পিস্তল, তিনটি কার্তুজ, একটি ম্যাগাজিন, দুই কেজি গাঁজা, ৬৯ বোতল ফেনসিডিল-সহ মোট আট জন চোরাকারবারীকে আটক করা হয়। জব্দ করা সোনার ওজন ৩.৫২৫ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য ২কোটি ১৮ লক্ষ টাকা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৩২ নং বাহিনীর বর্ডার পোস্ট বিজয়পুরের সেনারা গোয়েন্দা দ্বারা খবর পায়, সীমান্ত এলাকার বিজয়পুর গ্রামের একটি সন্দেহজনক বাড়ি থেকে সোনা পাচার হচ্ছে। এরপর তথ্যের ভিত্তিতে ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বিজয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের সাথে বিজয়পুর গ্রামের সন্দেহজনক বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশি অভিযান দল রাতের দিকে তিনটি বাড়ি থেকে মোট ২৪টি সোনার বিস্কুট এবং ৮টি সোনার চুড়ি উদ্ধার করে এবং একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলাকেও গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী অনুসন্ধান অভিযানের সময় সুমন বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ২টি সোনার বিস্কুট সহ ধরা পড়ে।
ধৃত চোরাকারবারী অমিত বিশ্বাসের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিজয়পুর গ্রামে বিএসএফ জওয়ানরা কৃষ্ণগঞ্জ পুলিশ ও রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর, কলকাতার কর্মীদের নিয়ে আবারও অভিযান চালায়। তল্লাশিকালে জয়শ্রী প্রামাণিককে তার বাড়ি থেকে দুই কেজি গাঁজা- সহ গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তল্লাশি অভিযানে বিএসএফ জওয়ান একের পর এক তথ্য পেতে থাকে। এর মধ্যে রীতা প্রামাণিকের স্বামী অমিত প্রামাণিকে আটক করে। এরপর পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদে তথ্যের ভিত্তিতে ধারাবাহিকভাবে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে রাজু বিশ্বাসের বাড়ি থেকে তার বাবা, মা ও ২১ বোতল ফেনসিডিল আটক করা হয়। তল্লাশি অভিযানে বিজয়পুর গ্রামে আরও ৪৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।