আজকাল ওয়েবডেস্ক: "পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। ইউটিউবে কেউ কেউ প্রাণের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করতেই পারে। বিশ্বাস করবেন না। সম্ভব হলে বলবেন এই ধরনের "সন্ধান" নিয়ে আমাদের কাছে আসতে।" আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর ১৬৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সায়েন্স সিটিতে এক আলোচনাচক্রে একথা বললেন নাসা"র জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. গৌতম চট্টোপাধ্যায়। 
তাঁর কথায়, "অ্যালিয়েন-এর সন্ধান এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে অনেক গুজব আছে। নাসা মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সন্ধান চালাচ্ছে। কারণ, ওখানকার ভূমির অবস্থা দেখে মনে হয়েছে সেখান দিয়ে কোনও একসময় জল গড়িয়ে গেছিল। আর জল থাকলে সেখানে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।" 
ইতিমধ্যেই নাসার তরফে শুরু হয়েছে "সাইকি মিশন"। যার ব্যাখ্যায় গৌতম জানিয়েছেন, বৃহস্পতি আর মঙ্গল গ্রহের মাঝে একটি গ্রহাণুর মধ্যে রয়েছে ধাতুর প্রলেপ। এই ধাতু কীভাবে ওখানে এল তা খোঁজ করার জন্যই এই মিশন। এর পাশাপাশি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো"র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে "নাসা ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচর রাডার" বা "নিসার" স্যাটেলাইট। আবহাওয়ার নিত্যদিনের হাল হকিকত আর কোনও দুর্যোগ বা সাইক্লোন-এর আগাম খবর জানার জন্যই এই স্যাটেলাইট কাজ করবে বলে তিনি জানান। 
এদিন গৌতম বলেন, "আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুই দেখিয়েছিলেন আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার রাস্তা। সেই "টেকনিক" ব্যবহার করেই আমরা কাজ করছি। ভাবতে পারিনি ছেলেবেলায় যার কথা বইয়ে পড়েছি আজ তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে বক্তৃতা করতে পারব।"
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয় ছিল নাসা কীভাবে মহাবিশ্বের রহস্য সমাধানে কাজ করে চলেছে। সায়েন্স সিটির সঙ্গে যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জে সি বোস ট্রাস্ট। ট্রাস্টের সেক্রেটারি ও ট্রাস্টি অধ্যাপক পারুল চক্রবর্তী তুলে ধরেন এই বিজ্ঞান সাধকের বিজ্ঞান চর্চার নানা দিক। ছিলেন সায়েন্স সিটির ডিরেক্টর অনুরাগ কুমার এবং ট্রাস্টি অধ্যাপক পার্থপ্রতিম মজুমদার। উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক বিকাশকান্ত চক্রবর্তী।