সংবাদ সংস্থা: শেষ পর্যন্ত ১৭ দিন পর ৪১টি প্রাণকে পৃথিবীর আলোয় টেনে এনেছে তাঁদেরই হাত। তাঁরা, মানে, র্যাট হোল মাইনার্স। অথচ এই জীবন বিপন্ন করা উদ্ধার কাজের জন্য একটা পয়সাও নেননি তাঁরা। জানিয়েছেন উকিল হাসান। তিনিই ছিলেন ১২ জন র্যাট হোল মাইনার্স টিমের দায়িত্বে। এই দলেই ছিলেন মুন্না কুরেশি। এসেছিলেন দিল্লির খাজুরি খাস এলাকা থেকে। ছিলেন কুমার। তিনি এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি থেকে। দলে ছিলেন দেশের আরও অনেক এলাকার শ্রমিকেরা। এঁরা সকলেই দিল্লির রকওয়েল এন্টারপ্রাইজেস সংস্থার কর্মী। এঁদের মধ্যে মুন্না কুরেশিই মঙ্গলবার রাতে সুড়ঙ্গের ভেতর শেষ পাথরটা সরিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে। তাঁকে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন শ্রমিকেরা। মুহূর্তেই তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরে, কাঁধে তুলে নেন তাঁরা। খেতে দিয়েছিলেন তাঁদের কাছে থাকা বাদাম।
উকিল হাসান জানান, সুড়ঙ্গের ভেতর শেষ ১৮ মিটার খুঁড়তে হয়েছিল তাঁদের। তাঁর কথায়, ‘পুরো কাজটা শেষ করতে আমাদের সময় লেগেছিল ২৮ ঘণ্টা। অগার মেশিনের ভাঙা টুকরোগুলো সরাতে দেরি হওয়ায় কাজ শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সোমবার বেলা তিনটে থেকে কাজ শুরু করি আমরা। শেষ হয় মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা নাগাদ। কথা দিয়েছিলাম, আমাদের কাজ শেষ হবে ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে। সেটাই আমরা করে দেখিয়েছি।’
জানা গিয়েছে, রকওয়েল এন্টারপ্রাইজেসকে প্রথম যোগাযোগ করে উদ্ধারকাজের দায়িত্বে থাকা ট্রেঞ্চলেস ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড এবং নবযুগ ইঞ্জিনিয়ার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুটি সংস্থা। রকওয়েলকে ডাকা হয়েছিল, কারণ টানেলিং–এর কাজে তাদের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে।
সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে আমন্ত্রিত বিদেশি বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স জানিয়েছেন, তাঁরই প্রথম মনে হয়েছিল র্যাট হোল মাইনাররা সাফল্য পেতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখছিলাম যতবার বড় বড় মেশিন আনা হচ্ছে ততবারই পাহাড় বিপজ্জনক আচরণ করছে। তাই পাহাড়কে আমরা বিরক্ত করতে চাইনি। নতুন করে কোনও ধস নামুক, তা চাইনি। আমার লক্ষ্য ছিল, এগোতে হবে ধীরে ধীরে। অত্যন্ত সন্তর্পণে। জানতাম, যদি এভাবে এগোই তাহলে আর কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম র্যাট হোল মাইনার্সরা হাতে খুঁড়বেন। এবং একেক বারে ১০০ মিটার এগোবেন। পাহাড়ের এলোমেলো আচরণের কারণেই এই সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল।’ ডিক্সের কথায়, ‘আমি র্যাট হোল মাইনার্সদের আনতে বলেছিলাম ঠিকই। তবে ওঁরা যে এত তাড়াতাড়ি সাফল্য এনে দেবেন সেটা অবশ্য ভাবিনি।’
তবে তাঁদের ওপর যে গুরুদায়িত্ব বর্তেছিল, শেষ পর্যন্ত তা সফলভাবেই পালন করেছেন র্যাট হোল মাইনার্সরা।
উকিল হাসান জানান, সুড়ঙ্গের ভেতর শেষ ১৮ মিটার খুঁড়তে হয়েছিল তাঁদের। তাঁর কথায়, ‘পুরো কাজটা শেষ করতে আমাদের সময় লেগেছিল ২৮ ঘণ্টা। অগার মেশিনের ভাঙা টুকরোগুলো সরাতে দেরি হওয়ায় কাজ শুরু করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সোমবার বেলা তিনটে থেকে কাজ শুরু করি আমরা। শেষ হয় মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা নাগাদ। কথা দিয়েছিলাম, আমাদের কাজ শেষ হবে ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে। সেটাই আমরা করে দেখিয়েছি।’
জানা গিয়েছে, রকওয়েল এন্টারপ্রাইজেসকে প্রথম যোগাযোগ করে উদ্ধারকাজের দায়িত্বে থাকা ট্রেঞ্চলেস ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড এবং নবযুগ ইঞ্জিনিয়ার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুটি সংস্থা। রকওয়েলকে ডাকা হয়েছিল, কারণ টানেলিং–এর কাজে তাদের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে।
সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে আমন্ত্রিত বিদেশি বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স জানিয়েছেন, তাঁরই প্রথম মনে হয়েছিল র্যাট হোল মাইনাররা সাফল্য পেতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখছিলাম যতবার বড় বড় মেশিন আনা হচ্ছে ততবারই পাহাড় বিপজ্জনক আচরণ করছে। তাই পাহাড়কে আমরা বিরক্ত করতে চাইনি। নতুন করে কোনও ধস নামুক, তা চাইনি। আমার লক্ষ্য ছিল, এগোতে হবে ধীরে ধীরে। অত্যন্ত সন্তর্পণে। জানতাম, যদি এভাবে এগোই তাহলে আর কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম র্যাট হোল মাইনার্সরা হাতে খুঁড়বেন। এবং একেক বারে ১০০ মিটার এগোবেন। পাহাড়ের এলোমেলো আচরণের কারণেই এই সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল।’ ডিক্সের কথায়, ‘আমি র্যাট হোল মাইনার্সদের আনতে বলেছিলাম ঠিকই। তবে ওঁরা যে এত তাড়াতাড়ি সাফল্য এনে দেবেন সেটা অবশ্য ভাবিনি।’
তবে তাঁদের ওপর যে গুরুদায়িত্ব বর্তেছিল, শেষ পর্যন্ত তা সফলভাবেই পালন করেছেন র্যাট হোল মাইনার্সরা।
