সংবাদ সংস্থা মুম্বই: চলতি বছর বনশালি পরিচালিত 'হীরামন্ডি' ওয়েব সিরিজে অন্যতম মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল মণীষা কৈরালাকে। সিরিজে 'মল্লিকাজান'-এর চরিত্রে মণীষার অভিনয় তারিফ কুড়িয়েছে দর্শকমহলে। অক্সিজেন জুগিয়েছে তাঁর নিভু নিভু ফিল্মি কেরিয়ারকেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মনীষা ফাঁস করলেন, কেরিয়ারের এক পর্যায়ে তাঁর বিতৃষ্ণা চলে এসেছিল অভিনয়ের প্রতি। বলিউডকেও বিদায় জানাবেন বলে মনে মনে পরিকল্পনা এঁটে রেখেছিলেন। সেই সময় ডিম্পল কপাডিয়ার একটি উপদেশ তাঁর চিন্তাভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল! যদিও তাৎক্ষণিকভাবে ডিম্পলের সেই উপদেশ এতটুকুও ভাল লাগেনি 'দিল সে'-এর নায়িকার।
মনীষার কথায়, " সেই সময় অভিনয়ের প্রতি ভীষণ একঘেঁয়েমি চলে এসেছিল। ডিম্পল কপাডিয়াকে এ বিষয়টা জানিয়ে কিছু টিপস্ চেয়েছিলাম, যাতে মনের অবস্থার খানিক উন্নতি হয়। তা শুনে তখন তিনি যা বলেছিলেন সেই সময় এতটুকুও ভাল লাগেনি শুনে। কিন্তু পরে উপলব্ধি করেছিলাম কত দামি ছিল ডিম্পলজির সেই উপদেশ। উনি আমাকে বলেছিলেন, 'অভিনয়টা চিরকাল করার সুযোগ পাবে না। তাই সময় থাকতে থাকতে যতটুকু পাচ্ছো, কাজ করে নাও।' আজ বুঝি সেই কথার মর্ম। তবে এখানে আরও একটা কথা বলতে চাই... সেই সময় বলিউডে অন্যতম ব্যস্ত নায়িকা ছিলাম। প্রতিদিন সকালে উঠে তিন ঘন্টা মেকআপ করতে হতো এবং তিন শিফটে তিন-তিনটে আলাদা ছবির শুটিং করতে হত। সপ্তাহে সাতদিন-ই কাজ করতে হত সেই সময়। কারণ বালি পাড়ায় তখনও সপ্তাহান্তে ছুটির নিয়ম শুরু হয়নি। দিনের মধ্যে চলত ১৫ ঘন্টা কাজ। বাড়ি ফিরে কোনওরকম একটু ঘুমনো, তারপর সকালবেলা উঠে ফের কাজে লেগে পড়া। দীর্ঘ বছর ধরে চলেছিল এই এক রুটিন। ফলে, সাংঘাতিক একঘেঁয়েমি কাজ করা শুরু করে দিয়েছিল সেই সময়ে..."
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে সুভাষ ঘাইয়ের পরিচালনায় 'সওদাগর' ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন মনীষা। প্রথম ছবিতেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। তবে মনীষা কৈরালার কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল '১৯৪২:আ লভ স্টোরি'। এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই রাত রাতেই আসমুদ্রহিমাচল ভারতের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন অভিনেত্রী।
