আজকাল ওয়েবডেস্ক: গাইঘাটার পর হাসনাবাদ। ফাঁকা বাড়িতে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পড়শি প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে। নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবার বৃহস্পতিবার সকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম পরিতোষ সরকার। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত প্রৌঢ়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন। জানা গিয়েছে, বুধবার ওই কিশোরীর বাবা ও মা দু'জনেই কলকাতায় গিয়েছিলেন। কিশোরী একাই বাড়িতে ছিল।

 

 

সন্ধ্যার পরে ওই কিশোরী বাড়ির ছাদে জামা-কাপড় তুলতে গিয়েছিল। পাশের বাড়ির ছাদ থেকে তখন পরিতোষ তাকে লক্ষ্য করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। ভয় পেয়ে কিশোরী দৌড়ে ছাদ থেকে দৌড়ে নীচের ঘরে নেমে আসে। দুই বাড়ির ছাদ কাছাকাছি ছিল। ছাদ ডিঙিয়ে পরিতোষও কিশোরীর পিছন পিছন নীচে নেমে আসে। অভিযোগ, ঘরের ভিতরে ঢুকে সে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার কথা কাউকে জানালে পরিতোষ তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে যায়। রাত দশটা নাগাদ কিশোরীর বাবা-মা বাড়ি ফিরে আসেন। তাঁরা দেখেন, মেয়ে অন্ধকার ঘরে শুয়ে কাঁদছে। জিজ্ঞাসা করতেই সে বাবা-মাকে পরিতোষের ‘কীর্তি’র কথা জানায়। বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরীর বাবা-মা হাসনাবাদ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।

 

 

পুলিশ তারপরই অভিযুক্ত পরিতোষকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত রবিবার গাইঘাটার ঠাকুরনগর এলাকায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পড়শি যুবক দর্শন করে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাস্থলে আসে রাজ্যের নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিটির প্রতিনিধি দল। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে কমিটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। গাইঘাটার ঘটনার জের না-কাটতেই বুধবার রাতে হাসনাবাদে দশম শ্রেণির আরও এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ। পুলিশ পকসো আইনে ধৃত পরিতোষের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। নির্যাতিতা ছাত্রীর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে।