আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমেঠিতে দম্পতি ও তাঁদের দুই সন্তানকে হত্যার পিছনে উঠে আসছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে অবনতির বিষয়। পুলিশ অন্তত তেমনটাই মনে করছে।
গত বৃহস্পতিবার এই খুনের ঘটনা ঘটে। আর শুক্রবারই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় অভিযুক্ত দাবি করেছে, গত দেড় বছর ধরে গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। সেই সম্পর্কে চিড় ধরতেই এই খুন কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
আমেঠির পুলিশ সুপার জানান, ‘অভিযুক্ত বলেছে মহিলার সঙ্গে প্রায় দেড় বছর ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। কিন্তু সেই সম্পর্কে সম্প্রতি তিক্ততা তৈরি হয়েছিল এবং তা নিয়ে মানসিক চাপে ভুগছিলেন অভিযুক্ত। অনুমান সেই কারণেই ওই পরিবারের সদস্যদের খুন করেছে সে।’ দম্পতি ও তাঁদের দুই নাবালিকা কন্যাকে খুন করতে ১০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন অভিযুক্ত। এর পর অভিযুক্ত নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে, কিন্ত ব্যর্থ হয়।
এদিকে খুনের ঘটনার পর আরও একটি বিষয় জানা গিয়েছিল। তা হল মাস দুয়েক আগেই ধৃতের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। অভিযুক্ত তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ছিল তাঁর। এমনকী যৌন নিগ্রহের অভিযোগও করেছিলেন। এমনকি তাঁর বা পরিবারের কোনও ক্ষতি হলে, সেই ঘটনার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিই দায়ী থাকবেন বলে থানায় অভিযোগ করেছিলেন মহিলা।
এদিকে খুনের পর দিল্লিতে পালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। কিন্তু ধরা পড়ে যায়। শনিবার আবার অপরাধে ব্যবহৃত পিস্তল ও মোটরবাইক উদ্ধারের জন্য অভিযুক্তকে আমেঠিতে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময় অভিযুক্ত এক পুলিশকর্মীর থেকে পিস্তল ছিনিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখনই অপর এক পুলিশকর্মী অভিযুক্তের পায়ে গুলি করেন। অভিযুক্ত স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
