Syamasri Saha | ০৬ আগস্ট ২০২৪ ১৭ : ৫৯Arijit Mondal

পর্দার 'ডায়মন্ড দিদি'র সঙ্গে কতটা মিল বাস্তবের ডোনা ভৌমিকের? শুনলেন শ্যামশ্রী সাহা

আপনার ফাস্টফুড-এর দোকানে কী পাওয়া যায়?
বড়াপাও, পেঁয়াজ কচুরি আর লিট্টিচোখা।

ব্যস, এই তিনটে খাবার? কোনটা বেশি চলছে?
বড়াপাও। আমার বড়াপাও একদম আলাদা, দিল্লির মতো না।

রেসিপিটা কী?
সস মাখানো ব্রেডের মধ্যে কলকাতার আলুর চপ।

হঠাৎ করে বিয়েও করলেন, কেমন কাটছে নতুন জীবন?
খুব চাপ শ্বশুরবাড়িতে। আমার বাবা-মাকে অপমান করা হয়েছে। আমার জায়েরা ভাল না। তবে হালুমহুলুম দিদান আমাকে ভালবাসে। ব্যাপারটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। ডায়মন্ডকে লড়তে হচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই স্ট্রাগল করতে হচ্ছে। 

বরের কী খবর?
ও যে কী করে বেড়াচ্ছে, বুঝতে পারছি না। ও কোথায় চাকরি করে, সেটাও বুঝতে পারছি না। কোথায় চলে যায় না বলে। তবে ডায়মন্ড ধরে ফেলবে। 

মানে দাম্পত্যের শুরুতেই সন্দেহ, বেশ অশান্তিতে আছেন মনে হচ্ছে?
খুবই অশান্তিতে আছি। হঠাৎ করে হলেও বিয়েটা আমার কাছে বড় ইমোশন। আমার বর তো বিয়েটা নিয়ে সিরিয়াস নয়। ওর কাছে পুরোটাই জোর করে হয়েছে। বিয়েটাকে ও সিরিয়াসলি নেয়নি। এতে ডায়মন্ড কষ্ট পাচ্ছে।

বাস্তবেও যদি হঠাৎ করে বিয়ে হয়ে যায় ডোনার?
ওরে বাবা! যাকে ভাল করে দেখিনি, চিনিনা, তাকে মেনে নিতে হবে! প্রাণের দায়ে বা কোনও পরিস্থিতির চাপে বিয়ে করতে হলে সেটা একটা বড় ধাক্কা। বিয়ে তো একবারই হয়। বিয়ে নিয়ে মেয়েদেরই বেশি অ্যাডজাস্ট করতে হয়। হাজব্যান্ড সাপোর্টিং না হলে খুব খারাপ। যেটা ডায়মন্ডের সঙ্গে হচ্ছে। তবে ডোনা হঠাৎ করে বিয়ে করবে না। বিয়ে করলে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজই হবে।

ও আপনি লাভ ম্যারেজ করতে চান না?
না। কারণ বিয়ের ব্যাপারে বাবা-মায়ের পছন্দকেই মেনে নেব। নিজের পছন্দের উপর বিশ্বাস নেই। আর হুট করে কাউকে ভালও লাগে না।  

প্রেম তো হয়েছে…
হ্যাঁ হয়েছে। ভেঙেও গিয়েছে। 

ডোনার সঙ্গে ডায়মন্ডের মিল কোথায়?
দু'জনেই চুলবুলি। আমিও ডায়মন্ডের মতো নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। লড়াই করতে চাই। দু'জনেই জেদি।

অভিনয়ে কীভাবে এলেন?
এটা হঠাৎ করেই হয়েছে। হসপিটাল ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স কমপ্লিট করার পর কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করেছি। কোভিডের আগে ফেসবুকে অডিশনের খবর পাই। ভাবলাম দেখাই যাক। অডিশন দিলাম। পরের দিনই খবর আসে ‘মোম পালক’-এ লিড রোলে আমাকে সিলেক্ট করা হয়েছে। খবরটায় বেশ অবাক হয়েছিলাম। আমি তো এই ইন্ডাস্ট্রির কাউকে চিনতাম না। আমাকেও কেউ চিনত না। মা বলেছিলেন, এই সুযোগটা ছেড়ো না। মা-ই বাবাকে বোঝান। তারপর থেকে আর থামতে হয়নি।

এই ধারাবাহিকের গল্পটা কী?
একটা লড়াকু মেয়ের গল্প। পরিবারের দায়িত্ব তার কাঁধে। নিজের জন্য ভাবে না। বিয়ে নিয়ে তো ভাবেই না। তবুও হঠাৎ করেই তার বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরেও পরিবারের দায়িত্ব থেকে সে সরে আসেনি। 

একটা কথা বলুন, এই সময়ে কেরিয়ার তৈরি করতে এখনও মেয়েদের কি স্ট্রাগল করতে হয়?
সময় যতই এগোক, মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে এখনও লড়াই করতে হয়। এখন তো কম্পিটিশন অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেখানে নিজেকে সেরা প্রমাণ করা বেশ কঠিন।

চার বছরে কতটা বুঝলেন ইন্ডাস্ট্রিকে?
আমার কোনও খারাপ অভিজ্ঞতা নেই। মাঝে খুব চাপ হয়েছিল। ভেবেওছিলাম আবার চাকরি করব। 'টুম্পা অটোওয়ালি'র পর বুঝতে পারলাম অভিনয় ছাড়া থাকতে পারব না। বড্ড ভালবেসে ফেলেছি।

বন্ধু হল?
এখানে কলিগই হয়। বন্ধু হয়েছিল। ইমোশনালও হয়ে গিয়েছিলাম। যতদিন গিয়েছে, বুঝতে পেরেছি বন্ধু এখানে হয় না। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই আপনাকে রিলস করতে দেখা যায়, এগুলো কেরিয়ারে কতটা সাহায্য করে?
অনেকটাই। গ্রো করতে হেল্প করে। ফলোয়ারস বাড়ে। মানুষ চিনতে পারে। এটা তো এখন রোজগারেরও একটা জায়গা।

ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার আর অয়নের অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রি নিয়ে তো বেশ গুঞ্জন..
লোকে তো বলবেই। তাদের কাজই তো এটা। এগুলো অয়নকে এফেক্ট করে। কিন্তু আমার শুনতে শুনতে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। 

বড়পর্দার অফার পেলেন?
হ্যাঁ দুটো অফার এসেছিল। এখনই ভাবছি না। আরও কিছুদিন যাক না!