আজকাল ওয়েবডেস্ক: নীল ছবি দেখে ৯ বছর বয়সি বোনকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ কিশোরের বিরুদ্ধে। প্রমাণ লোপাটের জন্য অভিযুক্তকে সাহায্য করেছিল তার মা ও দুই দিদি। কয়েকমাস তদন্ত চালানোর পর এবং দীর্ঘ জেরার পর অভিযুক্ত কিশোর, মা, ও দুই দিদিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

২৩ এপ্রিল ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায়। নীল ছবি দেখে বোনের পাশে ঘুমাতে গিয়েছিল কিশোর। সেই সময় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল ৯ বছরের নাবালিকা। মাঝরাতে ঘুম থেকে তুলে বোনকে ধর্ষণ করে কিশোর। বাবাকে অভিযোগ জানাবে বলতেই বোনের গলা টিপে, শ্বাসরোধ করে খুন করতে যায় সে। বোন জ্ঞান হারানোর পর মা ও দিদিদের কাছে ছুটে যায় কিশোর। অপরাধের কথা জানতেই ছুটে আসে তারা। দেখা যায়, তখনও নাবালিকা বেঁচে। এরপর বোনের শ্বাসরোধ করে খুন করে ১৩ বছরের দাদা।

নাবালিকার মৃত্যুর পর মৃতদেহ বাড়ির পিছনের জমিতে ফেলে দেয় তারা। প্রমাণ লোপাটের জন্য সরিয়ে ফেলা হয় খাট। প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে মা ও দিদিরা জানায়, নাবালিকাকে বিষাক্ত কোনও প্রাণী কামড়েছে। সেখান থেকে তাকে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণ করে, শ্বাসরোধ করে নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে। এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

অন্ততপক্ষে পঞ্চাশ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের বয়ান বারবার পাল্টে যায়। এরপর সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। মা, কিশোর এবং দুই তরুণীকে দীর্ঘ জেরার পর তারা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেয়।