বুধবার ১৮ জুন ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

রাজ্য | Election: ‌‌প্রতি ঘরেই ‘‌কন্যাশ্রী’‌রা

Rajat Bose | ০৪ মে ২০২৪ ১৭ : ২৫Rajat Bose


নীলাঞ্জনা সান্যাল:‌ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত প্রতিমা। প্রতিমা মাইতি। মাসে দু’‌বার রক্ত নিতে হাওড়ার বাকসির কোটাইপাড়া থেকে আসতে হয় কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে। জীবনের যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য খেতে হয় ওষুধ। বাড়ির আর্থিক অবস্থা এমন নয় যে এসব সামলে মেয়ের কলেজে পড়ার খচর সামলানো যাবে। তারই মধ্যে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখে প্রতিমা। আরও পড়তে চায় সে। ‘‌কন্যাশ্রী’‌র টাকায় স্কুল শেষ করে কলেজে পা রেখেছে প্রতিমা। স্কুলেও প্রতি বছর পেয়েছে কন্যাশ্রীর টাকা। কলেজে ভর্তি হতে পেয়েছে এককালীন ২৫ হাজার টাকা। এই টাকাতেই বাগনান কলেজে ভর্তি হয়েছে। প্রতিমা জানাল, কন্যাশ্রীর এই টাকা না পেলে কলেজে ভর্তি হওয়া হত না তার। এই টাকাতেই পড়তে হবে। বাড়তি খরচের সামর্থ্য নেই বাবা–মায়ের। তাই টিউশন নিতে পারেনি। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলে যে যে চাকরি পাওয়া যায় সেগুলোর চেষ্টা করছে। ‘‌একটা কাজ পেলে বড় ভাল হয়’‌ বলে জানাল প্রতিমা। ঘর জুড়ে অভাবের ছাপ স্পষ্ট। মা রাধারানী জানালেন, স্বামীর স্থায়ী কোনও কাজ নেই। তিনি নিজে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান। সব দিয়ে কুড়িয়ে–বাড়িয়ে দিন চলে যায়। মেয়ের চিকিৎসার পেছনেই সব খরচ হয়ে যায়। পড়াশোনার বড় ইচ্ছে মেয়ের। সরকারের থেকে কন্যাশ্রীর টাকা না পেলে প্রতিমার আর পড়া হত না। পড়ার পেছনে খরচ করার সামর্থ্য তাদের নেই।
শুধু একা প্রতিমা নয়, এমন হাজার হাজার প্রতিমার ভরসা ‘‌কন্যাশ্রী’‌। গ্রাম ঘুরে দেখা গেল, প্রতি ঘরেই রয়েছে বাংলার ‘‌কন্যাশ্রী’‌রা। কলেজে পড়ছে। দু’‌চোখ জুড়ে কিছু করার স্বপ্ন মাখা রয়েছে। সংসারে শত অভাব–টানাটানি থাকলেও, কন্যাশ্রীর দৌলতে যাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়নি। ভাই বা দাদার পড়ার জন্য যাদের নিজেদের কলেজে পড়তে যাওয়া আটকায়নি। যারা সরকারের থেকে দেওয়া নিজেদের টাকাতেই পড়াশোনা করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্বপ্নের প্রকল্প এই ‘‌কন্যাশ্রী’‌। ২০১৩ সালে চালু হয়। মূল উদ্দেশ্য হল, মেয়েদের পড়াশোনা চালাতে টাকা যেন কোনও বাধা না হয়। ২০১৭ সালে পায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই প্রকল্পে (‌‌কে ওয়ান)‌‌ স্কুলস্তরে পড়াশোনার খচর বাবদ বছরে হাজার টাকা মেলে। ১৮ বছরের পর কন্যাশ্রী–২ প্রকল্পে অবিবাহিত মেয়েদের পড়াশোনার জন্য এককালীন দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে কে–৩ প্রকল্পেও ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা প্রতি মাসে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। হাওড়ার তাজপুর পঞ্চায়েতের উপ–‌প্রধান গোলাম খানের অফিসে বসেই হচ্ছিল কথা। গোলাম জানালেন, ‘‌কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশেষ করে গ্রামের মেয়েদের জীবনকে দেখার দৃষ্টিটাই পাল্টে দিয়েছে। কলেজ পর্যন্ত সবাই পড়ছে। তার সঙ্গে নিজেরা টিউশনি করে নিজেদের খরচ নিজেরা চালাচ্ছে। বাড়ির লোকদের পড়ার খরচ দিতে হচ্ছে না। আগে স্কুল শেষ হলেই ছোট বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার যে প্রবণতা ছিল, সেটাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আটকানো গেছে।’‌
কন্যাশ্রীর টাকা না পেলে কলেজে ভর্তি হওয়া সম্ভব হত না রিয়া খাতুনের। পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না বিধানসভার রায়না ১–এ বাড়ি রিয়ার। ভর্তি হয়েছে গোতান কলেজে। জানালেন, কলেজে ভর্তি হতে সব মিলিয়ে হাজার ছয়েক টাকা লেগেছিল। বাড়ি থেকে এই টাকা দেওয়া সম্ভব হত না। কন্যাশ্রীর টাকাতেই ভর্তি হয়েছেন তিনি। বাংলা অনার্স নিয়ে শ্যামসুন্দর কলেজে পড়ছেন বীথি মুখার্জি। বীথির বোন স্নেহাও কলেজে পড়ছে। দু’‌জনেই পেয়েছেন কন্যাশ্রীর টাকা। বীথি জানালেন, কলেজে ভর্তি হতে লেগেছিল ৫ হাজার। এছাড়াও প্রতি সেমেস্টারে ভর্তি হতে খরচ ৩ হাজার টাকা করে। কন্যাশ্রীর টাকা পেয়ে খুবই সুবিধা হয়েছে। তাঁদের দুই বোনের পড়ার খরচ আর বাবাকে দিতে হয় না। কন্যাশ্রীর টাকা থেকেই হয়ে যায়। কলেজ শেষ করে আরও পড়ার ইচ্ছা রয়েছে বীথির।
পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ সহেলিদের। সহেলি পোড়েল। রায়না ১–এই বাড়ি। সদ্য শ্যামসুন্দর কলেজে ইতিহাস নিয়ে চার বছরের স্নাতক কোর্সে ভর্তি হয়েছে সহেলি। সহেলি জানাল, যদি কন্যাশ্রীর টাকা না পেত তাহলে কলেজে ভর্তি হতে পারত না। বাবা টুকটাক কাজ করেন। মা অসুস্থ, তাই বাড়িতেই। কলেজে এনসিসি করে সহেলি। শুধু পড়াশোনার কাজেই নয়, এনসিসির জুতো, পিটি ড্রেস কিনতেও কন্যাশ্রীর টাকা কাজে লেগেছে। সহেলি জানাল, আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। কলেজ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই। শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেও কন্যাশ্রীর টাকা পাওয়া যায়। ভবিষ্যতে পুলিশ হতে চায় সহেলি। কন্যাশ্রীর টাকা না পেলে কলেজে পড়া হত না মধুমিতা পোড়েলের। শ্যামসুন্দর কলেজে সংস্কৃত অনার্স পড়ছে মধুমিতা। কন্যাশ্রীর সব টাকা খরচ না করে ব্যাঙ্কে কিছু রাখা আছে। শুধু কলেজে ভর্তিই নয়, টিউশনি খরচও কন্যাশ্রীর টাকা থেকেই দেওয়া হয়। তবে শুধু কন্যাশ্রীর টাকা নয়, আরও কয়েকটি স্কলারশিপের টাকাও পায় মধুমিতা। হাওড়ার উলুবেড়িয়া লোকসভার অন্তর্গত ঘোষালচক গ্রামে বাড়ি তাঞ্জিলা খাতুনের। কন্যাশ্রীর টাকা না পেলে কলেজে পড়া হত না তাঞ্জিলার। বাবা লেদ কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। তাঞ্জিলার পরে আরও তিনটে ভাইবোন আছে। তাঞ্জিলা জানাল, আর্থিক কারণেই উচ্চ মাধ্যমিকের পর পড়াশোনায় ইতি পড়ে যেত যদি না কন্যাশ্রী থাকত। এই টাকা দিয়েই কলেজে ভর্তি হয়েছে সে, জানাল আরও পড়ার ইচ্ছা আছে। হাওড়ার তাজপুরের কাঁড়ার পাড়ায় বাড়ি সুদীপ্তা মণ্ডল কাঁড়ারের। আমতা কলেজে ভূগোল অনার্স নিয়ে পড়েছে সুদীপ্তা কন্যাশ্রীর টাকাতেই। সুদীপ্তার কথায়, মা বাড়িতে টিউশনি করতেন আর বাবা দিন মজুরের কাজ করতেন। কলেজে ভর্তি হতে সেই সময় যে টাকা লেগেছিল তা বাড়ি থেকে দেওয়া সম্ভব ছিল না। কন্যাশ্রীর টাকা না পেলে হয়ত আর পড়াই হত না। এতগুলো টাকা কোথা থেকে পেতাম। আমতা রামসদয় কলেজে স্নাতকে মাইনর–এ ভর্তি হয়েছে তিয়াসা পাল। কলেজে ভর্তি কন্যাশ্রীর টাকায়। বাকি টাকা ব্যাঙ্কে রাখা আছে। ‌







নানান খবর

কাকদ্বীপে উঠল ৫০ টন ইলিশ, বুধবার থেকেই বাজার গরম, দাম কত হবে

ঠিকমতো জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারেননি এই ব্যক্তি, এই 'অপরাধ'-এ দেশ থেকে বিতারিত করা হয়েছিল তাঁকে

ঘরেতে অভাব, তাই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটা কেমন যেন কালো ধোঁয়া, মেডিক্যাল-এ সুযোগ পেয়েও চিন্তিত বহড়ুর এই মেধাবী ছাত্রী

সরকারি উদ্যোগে মোবাইল ফোন দিয়েই তথ্যচিত্র তৈরির অভিনব কর্মশালা, কোথায় হচ্ছে?

স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন, অন্য যুবকের সঙ্গে মেলামেশা, চুঁচুাড়ায় আত্মঘাতী অস্থায়ী মহিলা হোমগার্ড

মুর্শিদাবাদের এই মন্দিরেই কি চাঁদ সওদাগর প্রথম মনসা পুজো করেছিলেন? মানুষের বিশ্বাস আজও অটুট দেবীকে নিয়ে

'অপারেশন সিঁদুর' চলাকালীন ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়েছিল পাকিস্তান, একের পর এক নিস্ক্রিয় করেছিলেন এই ব্যক্তি, চিনে নিন রাজ্যের এই বীর সৈনিককে

বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, প্রবল ঝড়-জলের আশঙ্কা, বৃষ্টিতে ভাসবে রাজ্যের এই জেলাগুলি

অবৈধ টোটো-অটোর দৌরাত্ম্যে বন্ধ বাস পরিষেবা, হুগলিতে বাস ধর্মঘট ডাক বাস মালিক সংগঠনের

রিকশাচালকের মেয়ে বিদিশার নিট জয়, 'কন্যাশ্রী'র রূপকথা সুন্দরবনে

বামেদের হাতছাড়া হলো কোন্নগর নবগ্রাম পিপলস কো-অপারেটিভ

মদ্যপকে বাড়ি ফিরতে বলায় বিপত্তি, সিভিক ভলেন্টিয়ারের হাতে হাসুয়ার কোপ যুবকের

নিকাশি বহাল রাখতে সরাতে হবে দোকান, জানিয়ে দিলেন বিধায়ক

মর্মান্তিক, পুকুরে স্নান করতে নেমে বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল নাবালকের

অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে 'গো ব্যাক' স্লোগান উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ, সামশেরগঞ্জে ব্লক সভাপতি বদলের সিদ্ধান্ত ঘিরে জোর বিক্ষোভ

বাদ কুলদীপ, প্রথম টেস্টের আগে পছন্দের দল বেছে নিলেন শাস্ত্রী

এক বোতলের দাম ৫২ কোটি টাকা! জানেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি মদের নাম?

কোহলির পরিবর্ত বেছে নিলেন প্রাক্তন নির্বাচক, তালিকায় নেই গিল-সুদর্শন

‘শর্তহীন আত্মসমর্পণ’, কেন নিজের পোস্টে লিখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, বাড়ছে জল্পনা

কোহলির পরিবর্ত বেছে নিলেন প্রাক্তন নির্বাচক, তালিকায় নেই গিল-সুদর্শন

অবিশ্বাস্য বোলিং আইপিএলের বিতর্কিত বোলার দিগ্বেশের, লখনউয়ের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার পোস্ট ভাইরাল

বোকা জুনিয়র্সের বিরুদ্ধে গোল করে কি ক্ষমা চাইলেন মারিয়া? ভুল ভাঙালেন আর্জেন্টাইন তারকা, কী বললেন তিনি?

'শান্তির জন্য খেলছি', ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে ট্রাম্পকে বিশেষ জার্সি রোনাল্ডোর

টেস্ট সিরিজের আগে লন্ডনে হাজির ভারতের টি-২০ অধিনায়ক, বাড়ছে ধোঁয়াশা

লাল কার্ড বের করতে গিয়ে ঈশ্বরের ছবি দেখালেন রেফারি, ক্লাব বিশ্বকাপে অবাক করার মতো ঘটনা

টাক পড়ে একাকার? এই ঘরোয়া তেলের জাদুতেই চিরতরে পিছু ছাড়বে চুল পড়ার সমস্যা, দ্রুত গজাবে নতুন চুল

'আমি রক্তও দিতে পারি', টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে খুল্লমখুল্লা রাবাদা

উঠল ফিফার ট্রান্সফার ব্যান, ফুটবলার সই করাতে বাধা নেই মোহনবাগানের

কসবায় একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

কে জিতলেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ? বাভুমা নাকি জয় শাহ? আইসিসি চেয়ারম্যানকে নিয়ে হাসিমস্করা

শহরে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

চাহালকে নিয়ে ধাওয়ানের রহস্যময় পোস্ট, ধোঁয়াশা ফ্যানদের মধ্যে

৬ বছর পর ফের বিশ্বসেরা মন্ধনা, ফিরে পেলেন একনম্বর ব্যাটারের তাজ

রাজ্যে রাজ্যে গাঁজা পাচার, অবশেষে রাজস্থানে গ্রেপ্তার 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ধরমবীর

একেবারে নির্মূল হবে পার্কিনসন্স! স্নায়ুর রোগে নতুন আশার আলো দেখালেন জাপানের চিকিৎসকেরা

কেন নেতৃত্ব প্রত্যাখান করলেন, ইংল্যান্ড সিরিজের তিনদিন আগে খোলসা করলেন বুমরা

এফডি-র সুদ কমেছে, ফলে ভাল রিটার্নের আশায় নজরে রাখুন পোস্ট অফিসের এই প্রকল্প

ফের একসঙ্গে নাগা-সামান্থা! ভুল বোঝাবুঝি দূরে সরিয়ে বড়পর্দায় কবে রোম্যান্স করবেন প্রাক্তন জুটি? 

সোশ্যাল মিডিয়া