আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ আলকারাজের পর উইম্বলডনের সেমিফাইনালে চলে গেলেন নোভাক জকোভিচও। তবে জয়ের জন্য বেশ বেগ পেতে হল সার্বিয়ান তারকাকে। ২২ নম্বর বাছাই ইতালির ফ্ল্যাবিয়ো কোবোল্লির বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হল ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিককে। শেষ পর্যন্ত ষষ্ঠ বাছাই জোকার জিতলেন ৬–৭ (৬–৮), ৬–২, ৭–৫, ৬–৪ ব্যবধানে। এক সেট পিছিয়ে থেকেও জকোভিচ জিতলেন ৩ ঘণ্টা ১১ মিনিটে। এই নিয়ে ১৪ বার উইম্বলডনের শেষ চারে পৌঁছোলেন জকোভিচ। পুরুষদের টেনিসে আরও একটি নজির গড়ে ফেললেন জোকার। যে নজির শুধু রজার ফেডেরারের আছে। 


জকোভিচের সামনে সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ শীর্ষবাছাই জানিক সিনার। তিনিও ইতালিয়। যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে সেরা টেনিস খেলেননি জকোভিচ। বেশ কিছু ‘আনফোর্সড এরর’ করেছেন। সিনারের বাধা টপকাতে হলে তাঁকে আরও তীক্ষ্ণ হতে হবে। না হলে ২৫ তম মেজর খেতাবের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম পর্যন্ত।


এক সেট পিছিয়ে শেষ অবধি টানা তিন সেট জিতে জয়। জয়ের পর জকোভিচ জানান, ‘‌ম্যাচটা শেষ করে উঠেছি। অস্বস্তিকর একটা মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল পড়ে যাওয়ায়। তবে আমি এর পরেও ম্যাচটা শেষ করতে পেরেছি। আশা করি দু’দিনে সব ঠিক হয়ে যাবে।’ এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘‌ঘাসের কোর্টে খেললে এরকম হতেই পারে। এ বছর মনে হয় আমি এভাবে কোর্টে পড়ে যাইনি। যেভাবে আমি কোর্টে নড়াচড়া করতে পারছি এবার, তাতে পড়ে যাওয়াটা একটু অবাক করার মতো। ফিজিওর সঙ্গে কথা বলতে হবে।’


সিনার অবশ্য স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দেন আমেরিকার বেন শিলটনকে। খেলার ফল সিনারের পক্ষে ৭–৬, ৬–৪, ৬–৪।