আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইএসএলের মেগা ফাইনালে মোহনবাগান-বেঙ্গালুরুর অন্তরালে লুকিয়ে আছে দুই গোলকিপারের দ্বৈরথ। গুরপ্রীত সিং সান্ধু এবং বিশাল কাইত। প্রথমজন দেশের একনম্বর কিপার। দ্বিতীয়জন সদ্য জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বাংলাদেশ ম্যাচে ক্লিনশিট রাখলেও বেশ কিছু ভুল করেন মোহনবাগানের কিপার। সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করা হয় তাঁকে। বাদ যাননি গুরপ্রীতও। নেটমাধ্যমে তির্যক মন্তব্য করেন। যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কিন্তু মেগা ফাইনালের আগে বিতর্কে ধামাচাপা দিলেন বেঙ্গালুরুর গোলকিপার। গুরপ্রীত বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়া আমার হাতে নেই। নেটমাধ্যমে লড়াই আমি কন্ট্রোল করতে পারব না। আমি বিশালকে স্নেহ করি। ভাল পেশাদারের পাশাপাশি ও খুব ভাল গোলকিপার। এখন আমরা শুধু ম্যাচে ফোকাস করছি। তার বাইরে কিছু নেই। ব্যক্তিগত লড়াই নয়, দুটো দল খেলবে। ফাইনাল দুই গোলকিপারের লড়াই নয়, দুটো দলের দ্বৈরথ। আমরা শুধু ফুটবলে ফোকাস করছি।'

পেশাদার ফুটবলার হিসেবে কলকাতায় হাতেখড়ি হয়। দীর্ঘদিন ইস্টবেঙ্গলে খেলেন গুরপ্রীত। তাই চেনা শহরে ফাইনাল খেলার বিষয়ে উত্তেজিত। গুরপ্রীত বলেন, 'পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আমার যাত্রা এখান থেকে শুরু হয়েছিল। আমি প্রথম থেকেই খেলার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমি এই যাত্রার জন্য কৃতজ্ঞ। প্লেয়ার হিসেবে বড় ম্যাচ, বড় ফাইনাল ঠাসা স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পাওয়া দারুণ অভিজ্ঞতা। আমি কলকাতায় এই ম্যাচটা খেলার সুযোগ পেয়ে ভাগ্যবান।' 

শনিবার রাতে পুরো স্টেডিয়াম তাঁদের বিরুদ্ধে থাকবে। ৬৫  হাজারের যুবভারতী ঠাসা থাকবে। বিরূপ পরিস্থিতিতে খেলতে হবে বেঙ্গালুরুকে। তবে সেই নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন তারকা কিপার। বরং দাবি করেন, এমন পরিবেশে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকে প্লেয়াররা। গুরপ্রীত বলেন, 'আমার জীবনের দ্বিতীয় পেশাদার ম্যাচ ডার্বি। স্টেডিয়ামে প্রায় এক লক্ষ সমর্থক ছিল। তখন বড় ম্যাচের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। কিছু শুনতে পাচ্ছিলাম না। সতীর্থদের সঙ্গে কথাও বলা যাচ্ছিল না। এবছর প্রথম ২০ ম্যাচে আমাকে পেছনে থেকে চিৎকার করতে হচ্ছিল। রক্ষণ তেমন ভাল অবস্থায় ছিল না। কিন্তু আমরা ক্লিনশিট রাখার চেষ্টা করছিলাম। তবে কিপার হিসেবে মনে হয়, শেষ ৫-৬ টা ম্যাচে রক্ষণ অনেক সংগঠিত হয়েছে। তাই আশা করছি আমাকে বেশি চিৎকার করতে হবে না। মোহনবাগানের সাপোর্টাররা বরাবর বড় ভূমিকা নিয়েছে। প্লেয়ার হিসেবে এই ম্যাচগুলো খেলতে ভাল লাগে। এটার জন্যই আমরা খেলি। এটা বাড়তি মোটিভেশনের পাশাপাশি বড় চ্যালেঞ্জও।' দু'বছর আগে গোয়ায় বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। এবারও কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে? না ভাগ্যের চাকা ঘোরাবেন গুরপ্রীতরা?