আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিনি কিং কোহলি, তিনি চেজ-মাস্টার, তিনি মর্ডান গ্রেট। বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটে সবচেয়ে উজ্জ্বল নামগুলোর একটি হল বিরাট কোহলি।
রবিবার রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে সেই পুরনো ঝলক দেখা গেল বিরাট কোহলির ব্যাটে। কোহলির বয়স এখন অনেকটাই বেশি, দাড়ি পেকেছে, দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার তিনি।
কিন্তু এত কিছুর পরেও রবিবার রাঁচিতে ভিন্টেজ ফর্মে ধরা দিলেন। ১৩৫ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংসে ক্রিকেটবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন কোহলি।
অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম দু’ম্যাচে ব্যর্থতার পর তৃতীয় ম্যাচে অর্ধশতরান করেছিলেন। রাঁচিতেও সেই ফর্মই দেখা গেল কোহলির ব্যাটে। রবিবার প্রথম বল থেকেই ছিলেন ছন্দে।
কোহলির ৫২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির উপর ভর করেই ১৭ রানের জয় তুলে নেয় ভারত। ম্যাচ শেষে সতীর্থ এবং কোচিং স্টাফরা সকলেই কোহলির ইনিংস নিয়ে একপ্রকার মুগ্ধতায় ভেসে গেলেন।
বিসিসিআইয়ের শেয়ার করা এক ভিডিওতে কুলদীপ যাদব বলেন, ‘আমার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল বিরাট ভাইয়ের অধিনায়কত্বে। আজ ওর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ৮-৯ বছর আগের কোহলিকে দেখছি, ২০১৭-২০১৯ সালের মতোই ব্যাট করছিলেন।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অসাধারণ এক ইনিংস ছিল। ওর শট সিলেকশন, ব্যাটে বল আসার ধরন সবই নিখুঁত।’ মাঠে থাকাকালীন কোহলির ১০০% এনার্জি ও আগ্রাসন সবসময়ই দলের প্রেরণা।
কুলদীপ বলেন, ‘ওর সঙ্গে থাকা মানেই শেখা। বোলিংয়েও বিরাট ভাই আমাদের ইনপুট দেয়। সিনিয়রদের উপস্থিতি পুরো দলকে এনার্জি দেয়।’
ভারতের সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেশকটে বলেন, ‘এই পিচে বড় রান দরকার ছিল। কোহলির সেঞ্চুরিতে ভর করে আমাদের বড় রান ওঠে। যা ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে।’
ড্রেসিংরুমে বসে বিরাটের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তিলক ভার্মাও। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা আবারও বিরাট ভাইয়ের সেরা এক ইনিংস দেখলাম। লাইভ সেঞ্চুরি দেখার অনুভূতি ভোলার নয়।
গত ১৭ বছর ধরে ও মাঠে বিদ্যুতের মতো। ওর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছি, সামনে আরও শিখব,’ বলেন তিলক। ভারতীয় দলের সতীর্থদের মতে কোহলির এই ইনিংস প্রমাণ করল ফর্ম সাময়িক, ক্লাস চিরস্থায়ী।
