আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা মনে হয় ভুল করে ব্যাট বল হাতে তুলে নিয়েছেন। ভিতরে ভিতরে সকলেরই ব্যাটের বদলে বন্দুক আর বলের বদলে বোমা হাতে নেওয়ার প্রবল ইচ্ছে। রবিবারের ভারত-পাক ম্যাচে আঘা সলমনের দলের আচরণে বোঝা গেল সেরকমই। সাহিবজাদা ফারহান তো প্রবল গালাগাল খেয়েছেন। কম যাননি বোলার হ্যারিস রউফও। এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বড়সড় বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি। ম্যাচ চলাকালীন গ্যালারি থেকে বারবার বিরাট কোহলির নাম ধরে স্লোগানের জবাবে তিনি যুদ্ধবিমানের ভঙ্গিমায় ঈশারা করে দর্শকদের দিকে। মুহূর্তটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ম্যাচে ভারতীয় দর্শকরা বাউন্ডারির ধারে ফিল্ডিং করা রউফকে লক্ষ্য করে বারবার ‘কোহলি-কোহলি’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। স্মৃতিতে ভেসে ওঠে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মেলবোর্নে রউফের টানা দু’বলে বিরাট কোহলির দুটি অবিশ্বাস্য ছক্কা। সেই ইনিংসকেই আজও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সেরা মুহূর্তগুলির একটি বলে মানেন বিশেষজ্ঞরা। চাপে পড়েও চুপ থাকেননি রউফ। প্রথমে কান চেপে ধরা ভঙ্গিতে স্লোগানকে পাত্তা না দেওয়ার ইঙ্গিত দেন। পরে হঠাৎ উসকানিমূলক ভঙ্গিতে যুদ্ধবিমান চালানোর অঙ্গভঙ্গি করেন। এর আগে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে শোনা যায়, তিনি হঠাৎই চিৎকার করে বলেন ‘৬-০’।
সেটা ভারতকে উদ্দেশ্য করেই কটাক্ষ করা বলে দাবি করেন অনেকে। তবে পাকিস্তানি শিবিরের একাংশের দাবি, ওটা ছিল কেবল খেলোয়াড়দের নিজেদের ফুটবল ম্যাচের উল্লেখ। ভারতীয় সমর্থকদের একাংশ অবশ্য এটিকে সংযুক্ত করেছেন অপারেশন সিঁদুরের সঙ্গে। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন শহিদের ঘটনার প্রতিশোধে ওই সামরিক অভিযানের সময় পাকিস্তান দাবি করেছিল, তারা নাকি ছ’টি ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করেছে। যদিও তা পুরোটাই ভুয়ো, আদৌ তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। পাশাপাশি, মাঠেও আবেগের পারদ চড়েছে। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে দুই শিবিরের খেলোয়াড়দের মধ্যে। তবে আগের ম্যাচের তুলনায় সুপার ফোরের ম্যাচে কিছুটা লড়াই করেছিল পাকিস্তানি ব্যাটাররা।
তবু মাঝপথ থেকে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেয় ভারতীয় বোলাররা। আর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অভিষেক শর্মা। মাত্র ৩৯ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, ছ’টি চার আর পাঁচটি ছক্কায় সাজানো। তাঁর ঝলকে ১৭২ রানের লক্ষ্যও সহজ হয়ে যায়। ভারত ১৮.৪ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে জিতে নেয় ম্যাচ। এই জয়ের পর দু’দিনের বিশ্রাম পেয়েছে ভারত। পরের ম্যাচে দুবাইয়ে ভারত মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের। অন্যদিকে পাকিস্তানকে এক দিনের মধ্যেই প্রস্তুত হতে হবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে, যারা নিজেদের প্রথম সুপার ফোর ম্যাচেও হেরে গিয়েছে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে পাকিস্তানকে হারাতেই হবে কুশল মেন্ডিসদের।
