আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ভারত যেমন তাদের প্রথম ম্যাচে আরব আমিরশাহিকে উড়িয়ে দিয়েছে। তেমনি পাকিস্তানও বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ওমানকে। এই মুহূর্তে গ্রুপ এ তে ভারত রয়েছে শীর্ষে। এক ম্যাচ খেলে এক জয়। পয়েন্ট দুই। নেট রানরেট +‌১০.‌৪৮৩। পাকিস্তানও এক ম্যাচ খেলে একটি জিতে দুই পয়েন্টে রয়েছে। কিন্তু তারা পয়েন্ট টেবিলে আছে দুই নম্বরে। কারণ নেট রানরেটে ভারত অনেক এগিয়ে। পাকিস্তানের নেট রানরেট এখন +‌৪.‌৬৫০। ফলে রবিবারের ম্যাচে ভারত যদি পাকিস্তানের কাছে হারেও তবুও শেষ ম্যাচে ওমানকে হারিয়ে দিলেই গ্রুপে শীর্ষে থেকেই শেষ চারে যাবে। যদি না পাকিস্তানের কাছে খুব বিচ্ছিরিভাবে হারে। যদিও সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। কারণ ভারতই এই ম্যাচে ফেবারিট। 


এদিকে, ভারত ইতিমধ্যেই পাক ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয়বার কাজ করছেন স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ আদ্রিয়ান লে রু। তিনি দায়িত্ব নিয়েই ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছেন। আমদানি করেছেন ব্রঙ্কো টেস্টের। এই টেস্টের ব্যাপারে লে রু’‌র বক্তব্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (‌বিসিসিআই)‌ তাদের অফিসিয়াল পেজে পোস্ট করেছে।


এই ব্রঙ্কো টেস্ট মূলত রাগবি প্লেয়ারদের জন্যই। তাঁদের অ্যারোবিক ও কার্ডিও ভাসকুলার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। এই টেস্টে চারটি মার্ক রয়েছে। জিরো মিটার, ২০ মিটার, ৪০ মিটার ও ৬০ মিটার। যেখানে এক জন প্লেয়ারকে জিরো থেকে ৬০ মিটার অবধি দৌড়ে আবার জিরো মিটারে ফিরতে হয়। তারপর আবার ৪০ মিটারে গিয়ে জিরো মিটারে ফিরতে হয়। এইভাবে ২০ মিটারে গিয়ে ফের জিরো মিটারে ফিরতে হয়। এইভাবে ২৪০ মিটার সম্পূর্ণ করতে হয়। এইভাবে পাঁচটা সেটে ১২০০ মিটার দৌড়তে হয় কোনও বিরাম ছাড়াই। যথেষ্ট কঠিন পরীক্ষা। ক্রিকেটের বাইবেল উইজডেনের দাবি, ভারতীয় ক্রিকেটারদের এই প্রক্রিয়াটা নাকি পুরো ৬ মিনিটে সম্পূর্ণ করতে বলা হয়েছে।


বোর্ডের প্রকাশ করা ভিডিওয় লে রু বলেছেন, ‘‌এই ব্রঙ্কো টেস্ট কিন্তু নতুন নয়। এটি ভারতীয় দলে চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্রীড়া ক্ষেত্রে এই টেস্ট বছরের পর বছর ধরে চালু রয়েছে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ক্রিকেটারদের ফিটনেস কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটি একেবারে সঠিকভাবে জানা যায়।’‌ ভিডিওয় লে রু আরও বলেছেন, ‘‌এটি একটি ফিল্ড টেস্ট। যে কোনও মাঠে বা জায়গায় এই টেস্ট করা যেতে পারে। ঘুরতে গিয়েও এই টেস্ট করা যেতে পারে।’‌ লে রু’‌র মতে গত দুই দশকে ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। খেলা অনেক বেড়েছে। তাই ক্রিকেটারদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটা খুব জরুরি।

এর আগে ২০০০ সালেও টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে কাজ করেছেন লে রু। পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। আদ্রিয়ানের কথায়, ‘‌ক্রিকেট হল একটা দক্ষতার খেলা। এই টেস্টের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের কেরিয়ার দীর্ঘায়িত হতে পারে। কারণ ফিটনেসই হল সব। যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে আরও বেশিদিন আপনি খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন।’‌ টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হয়েছে ইংল্যান্ড সফরের সময় থেকে। এই সফর থেকেই কাজ শুরু করেছেন তিনি। এবং উপভোগও করছেন। লে রু বলেছেন, ‘‌ক্রিকেটারদের বর্তমান ফিটনেস আমাকে খুশি করেছে। এটা বজায় রাখতে হবে।’‌