আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৩১ বছরে টেস্ট অভিষেক হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ার দুই ক্রিকেটারের। আসন্ন অ্যাশেজে লাল বলের ক্রিকেটে হাতেখড়ি হবে পেসার ব্রেন্ডন ডগেট এবং ব্যাটার জেক ওয়েদারাল্ডের। ২১ নভেম্বর পারথে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার অস্থায়ী অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ দুই ক্রিকেটারের অভিষেকের খবরে সিলমোহর দেন। ২০১০-১১ সিডনি টেস্টের পর এই প্রথম অ্যাশেজে একসঙ্গে দু'জনের অভিষেক হতে চলেছে। চোট রয়েছে প্যাট কামিন্স এবং জস হ্যাজেলউডের। যার ফলে সুযোগ পাচ্ছেন ৩১ বছরের ডগেট। অন্যদিকে তাসমানিয়ার ব্যাটার ওয়েদারাল্ড উসমান খোয়াজার সপ্তম ওপেনিং পার্টনার হতে চলেছে। 

অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন স্টিভ স্মিথ। অস্থায়ী অধিনায়ক জানান, তিন নম্বরে ফিরবেন মার্নাস লাবুশেন। স্টিভ স্মিথ বলেন, 'তিন নম্বরের আদর্শ ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন। আমাদের দল উপকৃত হয়। ফেরার পর আমরা যা বলেছি, সেইভাবেই খেলেছে। তাই ওকে বাদ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ছিল না। যেভাবে শিল্ড এবং কুইন্সল্যান্ডের হয়ে একদিনের ক্রিকেটে ব্যাট করেছে, অসাধারণ। সুতরাং, যখন ও ভাল ব্যাট করছে, ওকে কোনওভাবেই বাদ দেওয়া যায় না। আশা করব এবার টেস্টে সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারবে।' টেস্ট দলে ঢোকার লড়াইয়ে ছিলেন তাসমানিয়ের অলরাউন্ডার বিউ ওয়েবস্টারও। কিন্তু তাঁর পরিবর্তে লাবুশেনকে বেছে নেওয়া হয়। গতবছর ভারতের হয়ে অভিষেক হয় বিউয়ের। নজরও কাড়েন। কিন্তু তাঁকে পেছনে ফেলেন লাবুশেন। 

কামিন্স এবং হ্যাজেলউডের অনুপস্থিতি নিয়ে স্মিথ বলেন, 'চোট খেলার অঙ্গ। বিশেষ করে ক্রিকেটে। ফাস্ট বোলারদের ক্ষেত্রে। ওদের প্রচুর খাটতে হয়। ওদের না থাকা অবশ্যই ক্ষতি। তবে আশা করব স্কটি এবং ব্রেন্ডন ডগেট সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে। ব্রেন্ডন এর আগেও বেশ কয়েকবার অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছে। ওর দক্ষতা আছে। গত কয়েক বছরে অনেক উন্নতি করেছে।' আক্রমণে স্কট বোল্যান্ডকে যোগ দেবেন ডগেট।