আজকাল ওয়েবডেস্ক: আর্দেন গ্যালারি। অর্থাৎ কংক্রিটের পরিবর্তে মাটির ঢালে গা এলিয়ে খেলা দেখার মজা। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোতে আর্দেন গ্যালারি বহুল পরিচিত।

এবার কলকাতাতেও তৈরি হল বিদেশের ধাঁচে আর্দেন গ্যালারি। তবে ক্রিকেটে নয়, হকি স্টেডিয়ামে। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন স্টেডিয়াম চত্বরে রয়েছে জোড়া ফুটবল প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড।

তারই উল্টোদিকে গড়ে তোলা হল হকি বেঙ্গলের নিজস্ব অ্যাস্ট্র্যোটার্ফ স্টেডিয়াম। যা বাংলার হকির দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করবে।

বৃহস্পতিবার কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চে বোতাম টিপে ভার্চুয়ালি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

কেবল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই নয়, আরও একটি হকি স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে হাওড়ার ডুমুরজোলায়। নতুন বছরে বাংলার হকির জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যা সবচেয়ে বড় উপহার।

অ্যাস্ট্রোটার্ফের হকি স্টেডিয়ামে আর্দেন গ্যালারি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু মোটা লোহার জাল লাগানো হচ্ছে দর্শকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে।

কারণ, প্লেয়ারদের নেওয়া শট সরাসরি চলে আসলে দর্শকদের আহত হওয়ার শঙ্কা থাকছে। ফলে জাল লাগানোয় খেলা দেখতে অসুবিধা হতে পারে।

তাই অ্যাস্ট্রোটার্ফ সম্বলিত স্টেডিয়ামে আর্দেন গ্যালারির ভাবনায় অভিনবত্ব থাকলেও তা কতটা দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

উদ্যোগটা শুরু হয়েছিল বহু বছর আগে। গুরুবক্স সিং বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষপদে থাকার সময়। তারপর স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে পরিকল্পনা রূপায়ণ হয়।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, স্টেডিয়ামের জন্য স্থান নির্বাচন এবং কাজ শুরু হয়। গতবছর দুর্গাপুজোর সময় বেঙ্গল হকির মসনদে পালাবদল ঘটে।

স্বপন ব্যানার্জির জমানায় ইতি টেনে সুজিত বসুর জমানা শুরু হয়। অ্যাস্ট্রোটার্ফ নেই বলে বাংলার হকি শীতকালে কলকাতার ঘেরা মাঠে খেলা হয়।

তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান মাঠেই মূলত হয় খেলা ৷ ঘাসের মাঠে হকি খেলা মানে প্রাগৈতিহাসিক আমলে পড়ে থাকা। ফলে বাংলার হকি কার্যত ছিল আঁধারে। 

ঐতিহ্যবাহী বেটন কাপেও দেশের প্রথম সারির দলগুলো অংশ নিতে অনীহা প্রকাশ করত। সাম্প্রতিক অতীতে ছবিটা বদলেছে।

কারণ সাইয়ের অ্যাস্ট্রোটার্ফের মাঠে বেটন কাপের আয়োজন হচ্ছে। কিন্তু বাংলার হকির নিজস্ব একটা অ্যাস্ট্রোটার্ফ স্টেডিয়াম না থাকার খামতি রয়েই গিয়েছিল।

উদ্যোগ নিলেও তাঁর বাস্তবায়ন কোনওভাবেই হচ্ছিল না। বছর দু'য়েক আগে আটকে থাকা গাঁট খোলে। অ্যাস্ট্রোটার্ফ হকি স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হয়।

তবে একটি নয়, দু'টি স্টেডিয়াম তৈরির উদ্যোগ শুরু হয়। জায়গা হিসেবে বাছা হয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন চত্বর এবং ডুমুরজোলা স্টেডিয়াম।

এদিন শুরু হয়ে গেল ৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। খুলে গিয়েছে বিনোদনের নতুন জানলা।

দেশ-বিদেশের অসংখ্য ছবির প্রদর্শনের মাধ্যমে সিনেমাপ্রেমীদের জন্য তৈরি হয়েছে এক অনন্য সুযোগ, যেখানে মিলেমিশে যাচ্ছে নানা সংস্কৃতি ও ভাবধারা।

বৃহস্পতিবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ নিয়েই বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি  বাংলার সঙ্গীতজগতের অন্যতম গর্ব, আরতি মুখোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলেন রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’।

সম্মান প্রদান করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আরতিদি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। অথচ আমরা তাঁকে কোনওদিন যথাযথ সম্মান জানাতে পারিনি। আজ আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায়, বাংলার সর্বোচ্চ সম্মান তাঁর হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা গর্বিত। তাঁকে বলেছি, জীবনে আপনি হয়তো অনেক পেয়েছেন, কিন্তু মাটির দানে অন্যরকম এক ভালবাসা থাকে। আপনি সেটা সাদরে গ্রহণ করেছেন— আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আবেগে ভেসে গেলেন বর্ষীয়াণ গায়িকা। আবেগভরা কণ্ঠে ধন্যবাদ জানালেন তাঁকে।