আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। ফাইনালের নায়ক তিলক ভার্মা। টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ার হয়েছেন অভিষেক শর্মা। দুজনেই এই মুহূর্তে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে খেলছেন। অন্যদিকে ভারতের কাছে এশিয়া কাপের ফাইনাল–সহ তিনবার হেরেছে পাকিস্তান। ফাইনালে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন সাহিবজাদা ফারহান। দল হারুক, তাতে কী যায় আসে! পাকিস্তানে ফিরতেই সংবর্ধনা পেলেন পাক ব্যাটার। যা দেখে নেটিজেনরা বলছেন, এটাই দু’দেশের পার্থক্য।


এশিয়া কাপে ৩১৪ রান করেছিলেন অভিষেক। দিদির বিয়ের রিসেপশন ফেলে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বেসরকারি ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নামেন তিনি। তবে রান পাননি। কিন্তু তিলক ১২২ বলে ৯৪ রান করেন। এশিয়া কাপ ফাইনালে ৬৯ রান করে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন। এবারও ভারতের রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন তিলক। এশিয়া কাপের ফাইনাল ছিল ২৮ সেপ্টেম্বর। তার পাঁচদিন পরই ফের মাঠে নামলেন অভিষেক, তিলকরা। এর মধ্যে প্রথমজন এখনও ওয়ানডে জার্সি পরার সুযোগ পাননি। দ্বিতীয়জন নিয়মিত নন। ফলে দু’‌জনেই সেই তাগিদটা দেখাচ্ছেন।

 

আরও পড়ুন:‌ আমেদাবাদের মাঠে জন্টি!‌ দুর্ধর্ষ ক্যাচে প্রাক্তন প্রোটিয়া ফিল্ডারকে মনে করালেন নীতীশ


আর তার সম্পূর্ণ উল্টো ছবি পাকিস্তানে। এশিয়া কাপ ফাইনালে ৩৮ বলে ৫৭ রান করেছিলেন সাহিবজাদা ফারহান। একসময় ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে এশিয়া কাপে করেন ২১৭ রান। যা তিলকের থেকে মাত্র ৩ রান বেশি আর অভিষেকের থেকে ৯৭ রান পিছনে। পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা অবশ্য মেতে রয়েছেন ফারহানের বন্দুক সেলিব্রেশন নিয়ে। তাছাড়া ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরি করাও তো কম কৃতিত্বের নয়। দল হেরেছে ঠিকই, তা বলে সংবর্ধনায় কমতি হচ্ছে না। নেটিজেনরা বলছেন, দু’‌দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির এটাই তফাৎ। অনেকে আবার মজা করে বলছেন, ‘পাকিস্তানিরা ছোট ছোট বিষয়ে আনন্দ খুঁজে পায়।’

 

 

 


‌‌