আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনলাইন গেমিং বিল সংসদে পাস হওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের টাইটেল স্পনসরশিপ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ফ্যান্টাসি গেমিং সংস্থা ড্রিম ইলেভেন। ফলে, এশিয়া কাপের আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য নতুন স্পনসরের সন্ধানে নেমেছে বিসিসিআই। ড্রিম ইলেভেন ইতিমধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইকে জানিয়েছে, তারা আর টিম ইন্ডিয়ার স্পনসর থাকবে না। এতে আসন্ন এশিয়া কাপের আগে নতুন টাইটেল স্পনসর খুঁজছে বোর্ড। এবারের এশিয়া কাপ শুরু হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। এক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যেই দু’টি সংস্থা ভারতীয় দলের টাইটেল স্পনসর হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা টয়োটা মোটর কর্পোরেশন এবং একটি ফিনটেক স্টার্টআপ। তবে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। ওই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এশিয়া কাপের জন্য ড্রিম ইলেভেনের লোগো সহ টিম ইন্ডিয়ার জার্সি ছাপানো হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু সেই জার্সি ব্যবহার করা হবে না বলে নিশ্চিত করেছে বিসিসিআই। অনলাইন গেমিং বিল অনুমোদন হওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছে ড্রিম ইলেভেন। ২০২৩ সালে ৩৫৮ কোটি টাকার বিনিময়ে জাতীয় দলের জার্সি স্পনসর হয় ড্রিম ইলেভেন। ২১ আগস্ট অনলাইন গেমিং বিল অনুমোদিত হয়। আর তাতেই অনলাইন মানি গেমিং নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ায় ড্রিম ইলেভেন বড় সড় ধাক্কা খেয়েছে। ড্রিম ইলেভেনের ধাক্কা খাওয়া নতুন কোনও ঘটনা নয়। ভারত ক্রিকেট দলের জার্সি স্পনসর হওয়া একাধিক কোম্পানিকে আগে সরতে হয়েছে। সেই তালিকায় এবার যোগ হল ড্রিম ইলেভেন। বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের গত ৫টি জার্সি স্পনসরকেই সরতে হয়েছে। ড্রিম ইলেভেনের আগে ভারতের স্পনসর ছিল বাইজুস। ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত স্পনসর ছিল এই গোষ্ঠী। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ১৫৮ কোটি টাকা বকেয়ার দাবিতে মামলা করে। যা এখনও বিচারাধীন। অতীত থেকে দেখা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের টাইটেল স্পনসরগুলোর পরিণতি প্রায় একই।
এদিকে এশিয়া কাপের ভারতীয় দল ঘোষণা হয়েছে। সেই দলে জায়গা হয়নি শ্রেয়স আইয়ারের। কী কারণে শ্রেয়স আইয়ারের দলে জায়গা হল না, তা নিয়ে চলছে চর্চা। শ্রেয়সের বাবা বলেছেন, আর কী করলে শ্রেয়স দলে জায়গা পাবে? অনেকেই মনে করছেন শ্রেয়সকে বাদ দেওয়ার পিছনে রয়েছেন জাতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর। কিন্তু জানা গিয়েছে শ্রেয়স আইয়ারকে বাদ দেওয়ার পিছনে কোনও ভূমিকা নেই গৌতম গম্ভীরের। এমনই দাবি বোর্ডের এক সূত্রের। কলকাতা নাইট রাইডার্সের আইপিএল জয়ী অধিনায়কের বাদ পড়া নিয়ে চর্চা চরমে। অনেকেই টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচকে দায়ী করেন। কিন্তু জানা গিয়েছে, এতে কোনও হাত নেই গম্ভীরের। মুম্বইয়ে দল নির্বাচনের বৈঠকে তিনি ছিলেন না। এটা সবাই জানে। কিন্তু শোনা গিয়েছিল, ভিডিও কলের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন গম্ভীর। কিন্তু বোর্ডের এক সূত্রের দাবি, বৈঠকের অঙ্গ ছিলেন না টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ। মঙ্গলবার বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট সেন্টারে হাজির ছিলেন বোর্ড সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া, মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকর, শিব সুন্দর দাস, সুব্রত ব্যানার্জি, অজয় রাত্রা এবং শ্রীধরন শরৎ। এছাড়াও ছিলেন টি-২০ অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
