আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৫৮ বছরের ভারতীয় মহিলারা সাধারণত কী করেন? অধিকাংশের ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। নিজেরাও চাকরি জীবনের শেষ ল্যাপে। অবসর জীবনের প্রহর গোনা শুরু। শেষ জীবনে এসে নতুন করে শুরু করার স্বপ্ন ক'জন দেখেন? কিন্তু এমনই এক কীর্তি স্থাপন করলেন চীনের টেবিল টেনিস তারকা। একেবারে স্বপ্নের কাহিনী। ৫৮ বছর বয়সে অলিম্পিকে অভিষেক হল তানিয়া জেংয়ের। রীতিমতো চমকে দিলেন সবাইকে। ১৯৮৯ সালে চীন ছাড়েন। চলে যান চিলিতে। সেই দেশের হয়েই অলিম্পিকে অভিষেক হল তানিয়ার। প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে গেলেও, জীবনের ক্যানভাসে তিনি জয়ী। শিক্ষা দিলেন তরণ প্রজন্মকে।
জন্মসূত্রে তিনি চীনের। তাঁর নাম ছিল জেং ঝিয়িং। বিয়ের পর নাম বদলে হন তানিয়া জেং। ঝ উচ্চারণ করতে সমস্যা হয় চিলির বাসিন্দাদের। সেই কারণেই নাম পরিবর্তন। দেশ ছাড়ার সময় তাঁর বয়স ছিল ২৩। চিলিতে প্রথমে বিভিন্ন টেবিল টেনিস দলকে কোচিং করান। এরপর ২০০০ সালে তিনি টেবিল টেনিস ছেড়ে দেন। তারপর দীর্ঘ ২০ বছর তাঁর সঙ্গে এই খেলার কোনও সম্পর্ক ছিল না। কোভিডের সময় তিনি আবার ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। বাড়িতে টেবিল কিনে আবার খেলা শুরু করেন। তবে অলিম্পিকের ভাবনা কোনওকালেই ছিল না। তাই 'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করা, তাঁর কাছে পদক জেতার সমতুল্য।
তানিয়া বলেন, 'কোনওদিন অলিম্পিকে নামার স্বপ্ন দেখিনি। বিনোদনের জন্য খেলতাম। অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করা আমার কাছে স্বপ্ন সফল হওয়া। এই বয়সে অলিম্পিকে অংশ নিতে পেরে খুবই খুশি।' সান্তিয়াগোয় অনুষ্ঠিত টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ জেতার পর চিলিতে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তানিয়ার বাবা টেবিল টেনিস কোচ ছিলেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯২। দেখলেন ৫৮ বছরের মেয়ের অলিম্পিকে অভিষেক। অলিম্পিকের মঞ্চে আদ্যই শেষ রজনী হলেও, জীবনের এতগুলো রজনী পার করা 'টেবিল টেনিস গ্র্যান্ড মা' জীবনযুদ্ধে জয়ী।
জন্মসূত্রে তিনি চীনের। তাঁর নাম ছিল জেং ঝিয়িং। বিয়ের পর নাম বদলে হন তানিয়া জেং। ঝ উচ্চারণ করতে সমস্যা হয় চিলির বাসিন্দাদের। সেই কারণেই নাম পরিবর্তন। দেশ ছাড়ার সময় তাঁর বয়স ছিল ২৩। চিলিতে প্রথমে বিভিন্ন টেবিল টেনিস দলকে কোচিং করান। এরপর ২০০০ সালে তিনি টেবিল টেনিস ছেড়ে দেন। তারপর দীর্ঘ ২০ বছর তাঁর সঙ্গে এই খেলার কোনও সম্পর্ক ছিল না। কোভিডের সময় তিনি আবার ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। বাড়িতে টেবিল কিনে আবার খেলা শুরু করেন। তবে অলিম্পিকের ভাবনা কোনওকালেই ছিল না। তাই 'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করা, তাঁর কাছে পদক জেতার সমতুল্য।
তানিয়া বলেন, 'কোনওদিন অলিম্পিকে নামার স্বপ্ন দেখিনি। বিনোদনের জন্য খেলতাম। অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করা আমার কাছে স্বপ্ন সফল হওয়া। এই বয়সে অলিম্পিকে অংশ নিতে পেরে খুবই খুশি।' সান্তিয়াগোয় অনুষ্ঠিত টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ জেতার পর চিলিতে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তানিয়ার বাবা টেবিল টেনিস কোচ ছিলেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯২। দেখলেন ৫৮ বছরের মেয়ের অলিম্পিকে অভিষেক। অলিম্পিকের মঞ্চে আদ্যই শেষ রজনী হলেও, জীবনের এতগুলো রজনী পার করা 'টেবিল টেনিস গ্র্যান্ড মা' জীবনযুদ্ধে জয়ী।
