আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইপিএলের গ্রহে তিনি রহস্য স্পিনার। ওয়ানডে ফরম্যাটে জাতীয় দলের হয়ে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। সেই বরুণ চক্রবর্তী যদি টেস্ট খেলেন তাহলে কেমন হয়? 

বরুণকে নিয়ে চর্চা ভারতের ক্রিকেটমহলে। তিনি নিজে কি টেস্ট ফরম্যাটে খেলতে রাজি? এক পডকাস্টে বরুণ বলেছেন, ''টেস্টে খেলতে আমি আগ্রহী। কিন্তু আমার বোলিং স্টাইল টেস্ট ক্রিকেটে চলবে না। আমার বোলিং অনেকটা মিডিয়াম পেসের মতো। টেস্ট ফরম্যাটে কমপক্ষে ২০-৩০ ওভার নাগাড়ে বল করতে হয়। এটা আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। যেহেতু আমি দ্রুত বল করি, তাই সর্বোচ্চ ১০-১৫ ওভার পর্যন্ত আমি বল করতে পারব টেস্টে। লাল বলের ফরম্যাটে যা সম্ভব নয়। আমি ২০ ওভার এবং ৫০ ওভারের খেলায় ফোকাস করছি।'' 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এহেন বরুণ চক্রবর্তীই রোহিত শর্মার হাতের তুরুপের তাস হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এহেন বরুণ চক্রবর্তীকেই প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ফোনে প্রাণনাশের হুমকি পান তিনি। এমনকি তাঁকে ভারতে ফিরতে বারণ করা হয়। চেন্নাইয়ে তাঁর বাড়িতে অনুসরণ করা হয়।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বরুণ চক্রবর্তী প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে, তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষ। ২০২১ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিষেক হয় বরুণের। সেই বছরের বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলে সুযোগ পান তিনি। কিন্তু প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দিতে না পারায় কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। 

যে স্থানে খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য হুমকি পেয়েছিলেন, সেখানেই নায়ক হিসেবে তাঁর আবির্ভাব ঘটে। জীবন এরকমই।