আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রর মধ্যরাত থেকে কলকাতায় শুরু হয়েছিল মেসিপক্ষ। শনিবার মেসি শো সুপারহিট হয়নি যুবভারতীতে। মেসি-ম্যাসাকার দেখে বাঙালির বড় আপন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন।
মেসিকে ভারতে আনার মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত সিটের অফিসারদের জানিয়েছেন, তাঁকে পিছন থেকে ছোঁয়া, স্পর্শ করা একেবারেই পছন্দ করেননি মেসি। বিদেশি নিরাপত্তারক্ষীরা আগেই এব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু যুবভারতীতে অত্যুৎসাহী ভক্তদের ছোঁয়ায় বিরক্ত হন মেসি। তিনি পনেরো মিনিটের বেশি মাঠে ছিলেন না। আর মেসি চলে যেতেই পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যায়। গ্যালারি থেকে উড়ে আসে বোতল।
মেসির চতুর্দিকে উপস্থিত অত্যুৎসাহী ভক্তদের সরে যাওয়ার জন্য একাধিক বার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। মেসিকে প্রায় ঘিরে ফেলা হয়েছিল। তাঁকে ছোঁয়ার চেষ্টা করা হয়। পিছন থেকে স্পর্শ করার চেষ্টা করা হয়। বিরক্ত হন মেসি। তিনি আর থাকতে চাননি মাঠে।
জেরার মুখে শতদ্রু দত্ত আরও জানান, সেদিন মাঠে ঢোকার জন্য দেড়শোটা গ্রাউন্ড পাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু দারুণ প্রভাবশালী ব্যক্তির জন্য সেই সংখ্যা তিনগুণ বাড়াতে হয়।
শতদ্রু দত্ত আরও জানান, এই সফরের জন্য ৮৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল মেসিকে। ভারত সরকারকে ১১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ মেসির সফরের জন্য ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। সূত্রের খবর তিরিশ শতাংশ অর্থ এসেছিল স্পনসরের কাছ থেকে। আর বাকি তিরিশ শতাংশ অর্থ এসেছিল টিকিট বিক্রি থেকে।
শতদ্রুর অ্যাকাউন্টে ২২ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
মেসির ভারত সফরে কলকাতার অনুষ্ঠান ব্যর্থ হলেও হায়দরাবাদ, মুম্বই ও দিল্লির অনুষ্ঠান সফল হয়। দিল্লির অনুষ্ঠান শেষ করে অনন্ত আম্বানির অতিথি হিসেবে জামনগরের বনতারায় যান। সেখানে বন্যপশুদের দেখে অবাক হয়ে যান মেসি।
