আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র আট বল খেলেছেন তিনি। আর এই আট বল খেলে খাতা খুলতে পারেননি শুভমান গিল।
চিপকে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্টে কোনও সময়েই গিলকে আত্মবিশ্বাসী দেখায়নি। বৃহস্পতিবার গিল শূন্য রানে ফেরায় বিরাট কোহলি ও টাইগার পতৌদির সঙ্গে একই বন্ধনীতে নাম লিখিয়ে ফেললেন প্রতিশ্রুতিমান এই ব্যাটার। যদিও এমন নজির তাঁর কাছে একদমই কাঙ্খিত নয়।
হাসান মাহমুদের লেগ সাইডের ডেলিভারিটা খেলতে গিয়ে উইকেটের পিছনে লিটন দাসের গ্লাভসে ধরা পড়েন গিল। রোহিত শর্মা ফিরে যাওয়ার পরে ক্রিজে এসেছিলেন শুভমান গিল। তাঁর উপরে অনেক দায়িত্ব ছিল ভারতের। বাংলাদেশের দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ ক্রমাগত গিলের পরীক্ষা নিয়ে যান। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে গিল ফেরেন কোনও রান না করেই।
চলতি বছর টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয়বার শূন্য রানে আউট হলেন গিল। এক বছরে ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটে ন্যূনতম তিনবার শূন্য রানে আউট হওয়া ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান গিল।
২০২১ সালে বিরাট কোহলি ঘরের মাঠে তিন-তিনবার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন। এই তালিকায় রয়েছেন মনসুর আলি খান পতৌদি (১৯৬৯ সাল), দিলীপ ভেঙ্গসরকার (১৯৭৯), মহিন্দর অমরনাথ (১৯৮৩) ও বিনোদ কাম্বলির (১৯৯৪) মতো ক্রিকেটার।
এই তালিকায় সব থেকে বেশি বার শূন্য করেছেন মহিন্দর অমরনাথ। ১৯৮৩ সালে অমরনাথ দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত টেস্টে ৫ বার ডাক দেখেছিলেন।
চলতি বছর গিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে দু'বার ডাক দেখেছিলেন। প্রথমটি হায়দরাবাদ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে, পরেরটি রাজকোট টেস্টের প্রথম ইনিংসে। তবে ওই দুটো ডাক ছাড়া ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই সিরিজে গিল বেশ ভালই খেলেন। দুটো সেঞ্চুরি, দুটো অর্ধশতরান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে কথা চলল না গিলের ব্যাট।
