আজকাল ওয়েবডেস্ক: চতুর্থ টেস্ট শুরু হতে চারদিন বাকি। তার আগে টিম ইন্ডিয়ার উদ্দেশে মূল্যবান উপদেশ মহম্মদ কাইফের। ইংল্যান্ডের মাটিতে তিনটে টেস্টে প্রত্যাশিত সাফল্য পাননি করুণ নায়ার। তাসত্ত্বেও বাকি দুই টেস্টে কামব্যাক বয়কে সুযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিলেন ভারতের প্রাক্তনী। ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল এবং হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে অনুরোধ করলেন করুণের পাশে থাকার জন্য। আট বছর পর ভারতের টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন করেন। ভাবা হয়েছিল, দু'হাতে এই সুযোগ লুফে নেবেন। কিন্তু রান পাননি। তিন টেস্টের ছয় ইনিংসে তাঁর স্কোর ০, ২০, ৩১, ২৬, ৪০ এবং ১৪। একটিও অর্ধশতরান নেই। দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। কাইফ মনে করছেন, এবার বাদ পড়তে পারেন করুণ। কারণ ম্যাচ হারলেই প্যানিক করতে শুরু করে দল।
কাইফ বলেন, 'আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি। ম্যাচ হারলেই প্যানিক শুরু হয়ে যায়। জিতলে প্রথম একাদশে কোনও পরিবর্তন হয় না। প্রথম টেস্ট হারের পর দলে দুটো, তিনটে পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু বার্মিংহ্যামে জেতার পর, শুধুমাত্র যশপ্রীত বুমরা দলে ফেরে। বাকি কোনও পরিবর্তন হয়নি। এভাবেই চলে আসছে। আমার মনে হয়, তৃতীয় টেস্ট হারের পরও ম্যাঞ্চেস্টারে একই দল ধরে রাখা উচিত। করুণ নায়ার শুরুটা খারাপ করছে না। ৩০, ৪০ রান করছে। কিন্তু বড় রানে কনভার্ট করতে পারছে না। ওর আরও একটা সুযোগ পাওয়া উচিত। এটা শুভমন গিল এবং গৌতম গম্ভীরের পরীক্ষা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে লর্ডসে হেরেছে ভারত। তারপর কি প্যানিক করে দলে পরিবর্তন আনা হবে? নাকি প্লেয়ারদের ওপর ভরসা রাখা হবে?'
প্রথম টেস্ট ৫ উইকেটে হারে ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচ ৩৩৬ রানে জেতে। তৃতীয় টেস্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ২২ রানে হারে। ভারতের প্রাক্তনী মনে করেন, ভাগ্য সঙ্গে থাকলে তিনটে টেস্টই জিততে পারত ভারত। কাইফ বলেন, '১৫ দিনের মধ্যে ১২-১৩ দিন ভারতের আধিপত্য ছিল। খুব ভাল ক্রিকেট খেলেছে। ব্যাট এবং বল, দুটোই ভাল করেছে। এই দলটা যখন ইংল্যান্ডে পৌঁছয়, অধিকাংশ ০-৪ বা ১-৪ এ হারের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। কিন্তু ওরা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। কোহলি, রোহিত, সামি এবং অশ্বিনকে ছাড়া এই তরুণ দল নিজেদের মেলে ধরেছে। দুটো ক্লোজ ম্যাচ হেরেছে। হেডিংলি ভারতের হাতের মুঠোয় ছিল। লর্ডস টেস্টও। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শুভমন গিল। অধিনায়ক এবং ব্যাটার হিসেবে। ইংলিশ কন্ডিশনে ও সাফল্য পাবে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু ও ব্যাটে জবাব দিয়েছে। ভাগ্য সঙ্গে থাকলে, ভারত তিনটে টেস্টই জিততে পারত।'
গিলের প্রশংসা করলেও, লর্ডস টেস্ট হারের পেছনে তরুণ নেতাকে দোষারোপ করেন কাইফ। হারের জন্য ভারত অধিনায়কের আচরণকে দায়ী করেন প্রাক্তনী। শুনে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। সোশ্যাল মিডিয়ায় চমকে দেওয়ার মতো মন্তব্য করেন কাইফ। দাবি করেন, জ্যাক ক্রলির সঙ্গে গিলের ঝামেলা ইংল্যান্ডকে একপ্রকার ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। তারপরই অসাধারণ স্পেল করেন বেন স্টোকস। যা আয়োজকদের লর্ডস টেস্ট জিততে সাহায্য করে। তৃতীয় দিনের শেষে ক্রলির বিরুদ্ধে সময় নষ্ট করার অভিযোগ করেন গিল। কথা কাটাকাটিতেও জড়ান। কিন্তু ভারতের তরুণ নেতার এই আচরণ দলকে সাহায্য করেনি। আরও বেশি আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্টোকসরা।
