আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত এক বছরে অনেক কিছু ঘটেছে তাঁর জীবনে। ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার শাস্তিস্বরূপ কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েন। তাঁকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কিছুটা বাধ্য হয়েই ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরেন। ফিরেই রঞ্জিতে সাফল্য। তারপর আন্তর্জাতিক মঞ্চে। তারই মাঝে অধিনায়ক হিসেবে আইপিএল জয় শ্রেয়স আইয়ারের। এই জায়গা থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেকে নতুনভাবে প্রমাণ করা সহজ ছিল না। ৫ ইনিংসে ২৪৩ রান করে ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে তৃপ্ত। শ্রেয়স বলেন, 'লম্বা যাত্রা। আমার জীবনের এই পর্যায় আমি অনেক কিছু শিখেছি। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর আমি কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ি। আমার কোথায় ভুল হচ্ছে বোঝার চেষ্টা করি। আমার কী করা উচিত জানার চেষ্টা করি। তারপর রুটিন তৈরি করে ট্রেনিংয়ে ফোকাস করি। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলতে শুরু করার পর ফিটনেসের গুরুত্ব বুঝতে পারি। তবে শেষমেষ আমি নিজের খেলায় খুশি। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে আমি এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছি।' 

একদিনের ক্রিকেটে চার নম্বরে ব্যাট করা কঠিন। এই পজিশন টপ এবং লোয়ার অর্ডারের মধ্যে একটা লিংক। দলে বেশ কয়েকজন সুপারস্টার থাকলেও, চুপিসারে নিজের কাজটা সারেন শ্রেয়স।‌ রোহিত শর্মা তাঁকে 'নীরব নেতার' ট্যাগ দিয়েছেন। কীভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এই কঠিন কাজটা করেছেন? ভারতীয় তারকা জানান, এক বুক আত্মবিশ্বাস নিয়ে ক্রিজে নামেন তিনি। এটাই তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি। শ্রেয়স বলেন, 'আমি  চুপিসারে নামি না। সবসময় আমার মনের ভেতর কিছু চলে। আমার নিজের ওপর প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস আছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাকে নামানো হোক, আমি কাজটা সেরেই ফিরব। এই মাইন্ডসেট আমাকে সাহায্য করে। একাধিক ব্যর্থতা এবং প্রত্যাখান দেখার পর এই আত্মবিশ্বাস এসেছে। এটাই সেরা শিক্ষক। কঠিন সময় বোঝা যায় এই জায়গা থেকে নিজেকেই বেরোতে হবে। অন্য কেউ পারবে না।' চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রান তার। সেই কারণেই কি এই জয় আরও স্পেশাল তাঁর কাছে? শ্রেয়স বলেন, 'ট্রফি জয়ের থেকে ভাল আর কিছু হতে পারে না। ব্যক্তিগত রান বড় নয়, দলের জয়ই আসল। এত মানুষ আমাদের সমর্থন করে। তাঁদের জন্য ম্যাচ জিততে পারলে ভাল লাগে।' সাদা বলের ক্রিকেটে সাফল্য কি এবার সাদা জার্সিতে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে? শ্রেয়স জানান, ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশেষ ভাবতে চান না তিনি। বর্তমানে বাঁচতে চান। এটাই তাঁর সাফল্যের মন্ত্র।