আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় সময় সোমবার ভোরে ছিল আমেরিকান লিগ কাপের ফাইনাল। সেমিফাইনালে অরল্যান্ডোর বিরুদ্ধে দুর্দান্ত কামব্যাকের পর অনেকেই আশা করেছিলেন ফাইনালে সিয়াটলকে হারিয়ে লিগ কাপ তুলে নেবে মেসির ইন্টার মায়ামি। কিন্তু ফল হল উল্টো। রীতিমত নাকানিচোবানি খাইয়ে লিওনেল মেসি ও ইন্টার মিয়ামিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে লিগ কাপ জিতে নিল সিয়াটল সাউন্ডার্স। লুমেন ফিল্ডে অনুষ্ঠিত এই ফাইনালে রেকর্ড সংখ্যক দর্শকের সামনে টুর্নামেন্ট জিতে নিল সিয়াটল। ম্যাচের প্রথম গোল আসে ২৬ মিনিটে। ওসাজে ডি রোজারিও প্রথম গোল করে সাউন্ডার্সকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালেক্স রোল্ডান পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান।
শেষদিকে পল রথরক তৃতীয় গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। পুরো ম্যাচ জুড়ে মেসিকে আটকাতে রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিল সিয়াটল সাউন্ডার্স। তাতে তারা সম্পূর্ণ ভাবে সফল হয়। দু’একবার ছিটকে বেরিয়ে যাওয়া ছাড়া গোটা ম্যাচে নিষ্প্রভ মেসি। প্রথমার্ধে ৩৭ মিনিটের মাথায় সামনে গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। খেলা শেষে ইন্টার মিয়ামি শিবিরে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে, এমনকি হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তা সামলে ফেলা হয়। সাফল্যের পর ১৭ মিলিয়ন বেতনের সাউন্ডার্স দল উদযাপনে মেতে ওঠে। অন্যদিকে, ৪৭ মিলিয়নের ইন্টার মায়ামি দল হেরে যাওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সমর্থকদের মধ্যেও।
এই জয়ের ফলে সিয়াটল সাউন্ডার্স প্রথম এমএলএস দল হিসেবে উত্তর আমেরিকার সব বড় ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করল। তাদের ঝুলিতে এখন রয়েছে, ২টি এমএলএস কাপ, ১টি এমএলএস সাপোর্টার্স শিল্ড, ৪টি ইউএস ওপেন কাপ, ১টি কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপ এবং একমাত্র বাকি থাকা লিগস কাপ তারা এদিন জিতে নিল। উল্লেখ্য, রেকর্ড ৬৯,৩১৪ দর্শক উপস্থিত ছিলেন এই ম্যাচে, যা আগের লিগ কাপ দর্শক রেকর্ড ৫০,৬৭৫ ভেঙে দেয়। একই সঙ্গে এটি লুমেন ফিল্ডে সাউন্ডার্সের সর্বাধিক দর্শকসমাগমও। ম্যাচের শুরুতেই ডি রোজারিওর হেডারে গোল পায় সাউন্ডার্স।
প্রথমার্ধে মিয়ামির একাধিক সুযোগ মিস হয়, মেসির শট ও ডি পলের প্রচেষ্টা জ্যাকসন রাগেন আটকে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে সুয়ারেজ ও মেসি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি মিয়ামি। ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রোল্ডানের গোল এবং ৮৯ মিনিটে রথরকের শটে ব্যবধান আরও বাড়ে। সাউন্ডার্স তখনই নিশ্চিত করে নেয় ফাইনালের ট্রফি। লিগস কাপের দুই ফাইনালিস্টই ২০২৬ কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে জায়গা নিশ্চিত করেছিল। তবে এই জয়ে সিয়াটল সরাসরি শেষ ১৬-তে প্রবেশাধিকার পেল। সেই টুর্নামেন্ট থেকেই নির্ধারিত হবে ২০২৯ সালের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের একটি স্লট।
