আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ সানিয়া মির্জা। ভারতের টেনিস সুন্দরী। ব্যক্তিগত জীবনে যতই ঝড় উঠুক তা নিয়ে সচরাচর মুখ খোলেন না তিনি। তবে এবার ইউটিউব শো ‘সার্ভিং ইট আপ উইথ সানিয়া’–তে মুখ খুললেন সানিয়া মির্জা। বলিউড পরিচালক তথা কোরিওগ্রাফার ফারাহ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রথমবার তিনি জানালেন, ডিভোর্সের পর চূড়ান্ত যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকী প্যানিক অ্যাটাকের শিকারও হতে হয়েছিল।


২০১০ সালে পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিয়ে হয় সানিয়ার। বিয়ের ৮ বছর পর তাঁদের পুত্রসন্তান ইজহানের জন্ম হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে পাক তারকার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে সানিয়ার। এরপর থেকে ইজহানকে একাই বড় করছেন দেশের এই প্রাক্তন টেনিস তারকা। এই প্রসঙ্গে সানিয়ার বন্ধু ফারহা বলেন, ‘‌সিঙ্গেল মাদার হওয়া খুবই কঠিন। একার হাতে সমস্ত কাজ সামলাতে হয়, তাই না?’‌ সানিয়া জবাবে বলেছেন, ‘‌এটা জীবনের সবচেয়ে অসহায় মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটা। মাঝেমধ্যে খুবই অবসন্ন লাগত। সেসব ক্যামেরার সামনে বলতে চাই না। তোমার নিশ্চয়ই মনে রয়েছে, তোমার একটা শোয়ে আমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি স্টুডিওয় পৌঁছনোর মতো অবস্থাতেই ছিলাম না। থরথর করে কাঁপছিলাম। তুমি যদি আমাকে আনতে না আসতে, তাহলে লাইভ শোয়ে যেতে পারতাম না। তুমি বলেছিলে, ‘যাই হোক না কেন, তুমি শো করবেই’। এই কথাটাই আমাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করেছিল।’‌ 


ফারহা বলেন, ‘‌হ্যাঁ আমিও রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তোমাকে আগে কখনও প্যানিক অ্যাটাকের অবস্থায় দেখিনি। আমি কেবল ওর পাশে থাকতে চেয়েছিলাম। সেদিন শুট ছিল। কিন্তু সব কিছু ফেলে ওর কাছে ছুটে গিয়েছিলাম।’‌ তিনি জানিয়েছেন, সানিয়া যেভাবে বিষয়টা সামলেছে, তা প্রশংসনীয়। কাজ এবং ছেলেকে সামলানো, দু’টোই একসঙ্গে করতে হয় সানিয়াকে। তিনি বলেন, ‘‌এটাকেই হয়তো বলে ডবল এফর্ট। যা তুমি দারুণভাবে ম্যানেজ করছ।’‌

প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স হয়ে যায় সানিয়া–শোয়েবের। পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে নতুন করে গাঁটছড়া বাঁধেন শোয়েব। অন্যদিকে, পেশাদার টেনিস থেকে অবসরের পর ৬টি গ্র্যান্ড স্লামের মালকিন বিচ্ছেদের পরেও বছরের অনেকটা সময়ে মরুশহরেই কাটান। সেখানে তাঁর নিজের টেনিস অ্যাকাডেমি রয়েছে। দুবাই স্পোর্টসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হিসাবেও যুক্ত রয়েছেন সানিয়া।