আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফিফার সবুজ সঙ্কেত পেয়ে গেলেন রায়ান উইলিয়ামস। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের আবেদন অনুমোদন পাওয়ায় এখন থেকে ভারতীয় ফুটবল দলে নির্বাচনের জন্য বিবেচিত হতে পারবেন এই অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড।
বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। আইএসএলে বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে খেলা ৩২ বছর বয়সী উইলিয়ামস অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব ত্যাগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।
এআইএফএফ জানিয়েছে, ফিফার ‘প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস চেম্বার’ ১৯ নভেম্বর চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে। ফুটবলের শীর্ষ নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক যোগ্যতার সমস্ত মানদণ্ড পূরণ করেছেন উইলিয়ামস।
সংস্থার মতে, এই প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন করা হয়েছে, এবং এখন তার সামনে ভারতের জাতীয় দলের হয়ে খেলার দুয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে গেল।
পার্থে জন্ম হলেও রায়ান উইলিয়ামসের ভারতীয় নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা এসেছে মাতৃসূত্রে। তাঁর মা জন্মেছিলেন মুম্বইয়ে।
অন্যদিকে তার বাবা ব্রিটেনের কেন্টের বাসিন্দা। উইলিয়ামস এর আগে অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলেছেন।
২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে এক প্রীতি ম্যাচে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র দলের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমেছিলেন। ক্লাব পর্যায়ে ইংল্যান্ডের ফুলহ্যাম ও পোর্টসমাউথে খেলার পর ২০২৩ সালে তিনি ভারত এসে যোগ দেন বেঙ্গালুরু এফসি-তে।
এর আগে চলতি মাসেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পর তাঁকে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় দলের প্রস্তুতি শিবিরে ডাকা হয়। ১৩ নভেম্বর ভুটানের বিরুদ্ধে ক্লোজড ডোর প্রস্তুতি ম্যাচেও খেলেন তিনি।
এরপর বাংলাদেশে এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭ বাছাই পর্বের ম্যাচের জন্য ভারতীয় স্কোয়াডে নাম ছিল তাঁর। তবে ফিফার চূড়ান্ত অনুমোদনে দেরি হওয়া এবং ফুটবল অস্ট্রেলিয়ার ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ সময়মতো না পাওয়ায় ম্যাচের আগে তাঁকে রেজিস্ট্রেশন করানো যায়নি। ফলে, তাঁকে স্কোয়াডে রাখতে পারেননি হেড কোচ খালিদ জামিল।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে খুবই খারাপ পারফরম্যান্স করেছে ভারত। ২২ বছর পর ফুটবলে বাংলাদেশ হারাল ভারতকে।
গ্রুপের পাঁচ ম্যাচে একটিতেও জয় নেই খালিদ জামিলের দলের। অন্যদিকে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধের শেষে ০-১ গোলে পিছিয়ে ছিল ভারত। নব্বই মিনিটের শেষেও একই রেজাল্ট। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে এই দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
অন্যদিকে ভারতীয় ফুটবল আরও অন্ধকারে। দেশের সেরা লিগ আইএসএলের ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে। আদৌ হবে কিনা এখনও জানা নেই। এখনও পর্যন্ত কোনও বিডার পাওয়া যায়নি।
এদিকে জাতীয় দলের লজ্জার হার। তাও আবার ফিফা ক্রমতালিকায় তাঁদের থেকে ৪৭ ধাপ নীচে থাকা দলের কাছে। ভারতীয় ফুটবল ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে।
ম্যাচ শেষে উৎসবে মাতেন হামজারা। বিপক্ষের ডেরায় শুরুতেই কিছুটা পিছিয়ে পড়ে খালিদ জামিলের দল। কাফা নেশনস কাপে আশা জাগান ভারতীয় কোচ।
তাজাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে অভিষেক হয়। ১৭ বছরের ইতিহাসে যা প্রথম। ব্রোঞ্জ জেতে ভারত। কিন্তু তারপর থেকেই আবার পতন।
সিঙ্গাপুরের কাছে হারে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারে আশা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ৪ ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট ছিল ভারতের। পাঁচ ম্যাচের পরও পয়েন্ট ২।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে বাকি সব ম্যাচ জিতলেও ৮ পয়েন্টে পৌঁছতে পারত ভারতীয় দল। যা ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুর এবং হংকং সংগ্রহ করে ফেলেছে। তাই ম্যাচটা শুধুই নিয়মরক্ষার ছিল।
কিন্তু সম্মান রক্ষার ম্যাচেও ব্যর্থ সন্দেশরা। প্রথমার্ধে আক্রমণের ধারে-ভারে বাংলাদেশের থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে ছিল ভারত। অনেক বেশি আগ্রাসী ফুটবল খেলে হোম টিম।
