আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারছে না পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে দেখা হলেই হার হয়ে উঠছে দস্তুর। এই পরিস্থিতিতে ২০১৯ বিশ্বকাপের সময়ের রোহিত শর্মার একটি মন্তব্য হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়ম্যাচ সেরা হওয়ার পরে এক পাকিস্তানি সাংবাদিক রোহিতের পরামর্শ চেয়েছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ''পাকিস্তানের ব্যাটাররা ক্রাইসিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আপনি কি পরামর্শ দেবেন?'' মজা করে রোহিত বলেছিলেন, ''আমি যদি পাকিস্তানের কোচ হই, তাহলে বলবো। এখন কেন বলতে যাব?''

২০১৯ বিশ্বকাপে রোহিত স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন। পাক ব্যাটারদের ফর্মে ফেরার জন্য রোহিতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাংবাদিকরা। সেই সময়ে রোহিত এই কথা বলেছিলেন। এশিয়া কাপে ভারতের কাছে দুটি ম্যাচ হারার পরে ফের রোহিতের এহেন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়

এদিকে এশিয়া কাপে বুধবার ভারতের সামনে বাংলাদেশ। ফিল সিমন্স, মেহেদি হাসানরা বেশি গুরুত্বই দিচ্ছেন না ভারতকে। এশিয়া কাপে ভারতকে রোখা কঠিন। এখনও পর্যন্ত সূর্যকুমার যাদবের দল চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলছে। বাকি দলগুলো অনেক পিছিয়ে বলেই মনে করা হচ্ছে। সুপার ফোরে পাকিস্তানকে মাটি ধরানোর পরে বুধবার ভারতের সামনে বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন: ভারতকে হারাতে বাংলাদেশকে পাক-পরামর্শ, মেনে চললে নাকি সূর্যদের হারানো সম্ভব ...

সেই ম্যাচও কি একপেশে হবে? বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স অন্যরকম ভাবনা চিন্তা করছেন। তিনি মনে করেন, টুর্নামেন্টের যে কোনও দলেরই ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। বাংলার বাঘেরাও হারিয়ে দিতে পারে ভারতকে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তারাও আত্মবিশ্বাসীসূর্যকুমার যাদবের ভারতকে হারাতে পারলেই ফাইনালের রাস্তা প্রশস্ত হয়ে যাবে বাংলাদেশের কাছে।

ভারতকে হারানোর কৌশল বলে দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা বাজিদ খান। তিনি বলেন, ''ভারতের বিপক্ষে জয় পেতে হলে পাওয়ারপ্লেতে ভুল করা যাবে না। ভারতের ব্যাটাররা বিধ্বংসী। একটু ভুল করলেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে হবে। ভারত একেবারেই অন্যরকমের একটা দল। বাংলাদেশের উচিত হবে টস জিতে আগে বোলিং করা এবং শুরুতেই প্রভাব বিস্তার করা।''

ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পরে ধারাভাষ্য দেন বাজিদ। সেই তিনি বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়ে বলছেন, ''মুস্তাফিজ-তাসকিন বাংলাদেশের উইকেটশিকারি। ভারতের বিরুদ্ধে ওদের অন্যভাবে ব্যবহার করতে হবে।'' ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে বাজিদের পরামর্শ কী শুনলেন লিটন দাসরা।

ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে মেহেদি হাসান বলছেন, ''বেশি কিছু চিন্তা করছি না। শুধু একটা ক্রিকেট ম্যাচ খেলার জন্য যেভাবে থাকতে হয়, সেভাবেই আছি। প্রতিপক্ষ ভারত নাকি অস্ট্রেলিয়া, ওভাবে চিন্তাই করছি না।'' 

এখনও পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৭ বার সাক্ষাৎ হয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। তার মধ্যে মাত্র একবারই জিতেছে। সেই জয় বাংলাদেশ পেয়েছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। মাল্টিন্যাশনাল টুর্নামেন্টে ভারত ধরাছোঁয়ার বাইরে। বাংলাদেশকে অসাধ্যসাধন করতে হলে নিজেদের উপরে বিশ্বাস রাখতে হবে। সিমন্স মনে করেন, টাইগারদের সেই বিশ্বাস আছে। প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান তারকা বলছেন, ''বিশ্বাস তো থাকতেই হবে। আমাদেরও সুযোগ রয়েছে বলে বিশ্বাস করি। ম্যাচ চলাকালীন সুযোগ সুবিধা এলে তার সদ্ব্যবহার করতে হবে আমাদের। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।'' 

এখনও পর্যন্ত সূর্যকুমার যাদবের দল চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলছে। বাকি দলগুলো অনেক পিছিয়ে বলেই মনে করা হচ্ছে। সুপার ফোরে পাকিস্তানকে মাটি ধরানোর পরে বুধবার ভারতের সামনে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচও কি একপেশে হবে? এর উত্তর দেবে সময়। 

আরও পড়ুন:  ভারতকে হারাতে বাংলাদেশকে পাক-পরামর্শ, মেনে চললে নাকি সূর্যদের হারানো সম্ভব ...