আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পেয়েছেন রিঙ্কু সিং। দল নির্বাচনের কিছুদিন আগেও শোনা যাচ্ছিল, এশিয়া কাপের দলে সুযোগ নাও পেতে পারেন রিঙ্কু। কারণ টি২০ আন্তর্জাতিকে বাঁহাতি ব্যাটারের ফর্ম খুব একটা ভাল ছিল না। কিন্তু দল নির্বাচনের পর দেখা যায়, দলে আছেন রিঙ্কু। এরপরেই আর একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপে সুযোগ পাননি রিঙ্কু। ছিলেন স্ট্যান্ডবাই। তার উপর ২০২৫ আইপিএলেও বড় একটা রান পাননি রিঙ্কু। তবুও এশিয়া কাপের দলে তিনি সুযোগ পেয়েছেন। তবে এটা ঘটনা, ২৬ বছরের ক্রিকেটার অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের টি২০ লিগে খেলছেন তিনি। অনুশীলন ম্যাচে অর্ধশতরানও করেছেন। এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাওয়ার পর রিঙ্কু বলেছেন, ‘‌এই প্রথম কোনও মাল্টিন্যাশনাল টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেলাম। ২০২৪ সালে টি২০ বিশ্বকাপে সুযোগ পাইনি। এশিয়া কাপে যদি প্রথম একাদশে সুযোগ পাই তো নিজের সেরাটা দেব।’‌ 


দলে তাঁর ভূমিকা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেছেন, রিঙ্কুর ভূমিকা ‘‌ফিনিশারের’‌। কিন্তু রিঙ্কু তা মানেন না। তাঁর কথায়, ‘‌যে কোনও পজিশনে বললে খেলতে নেমে যাব। কিন্তু নিজেকে ফিনিশার দাবি করব না। বল হাতেও চেষ্টা করি।’‌ 


এরপরই রিঙ্কুর সংযোজন, ‘‌ক্রিকেট এখন অনেক দ্রুতগতির হয়ে গেছে। আর কোচ থেকে নির্বাচকরাও দলে তাই অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব দেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত বল করি। উইকেটও রয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরেও কিছু উইকেট নিয়েছি। এখনও বোলিংয়ে জোর দিচ্ছি।’‌ এশিয়া কাপ জেতার ব্যাপারে যথেষ্টই আশাবাদী শোনায় রিঙ্কুকে।

 

আরও পড়ুন:‌ আগরকরকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত বোর্ডের, এশিয়া কাপের আগে মুখ্য নির্বাচকের ভাগ্য লিখন


অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, রিঙ্কুর হবু স্ত্রী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেই হয়ত ফর্মে না থাকা সত্ত্বেও এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পেয়েছেন রিঙ্কু। এবিষয়ে রিঙ্কু জানিয়েছেন, ‘‌আমার ও প্রিয়ার পেশা আলাদা। ক্রিকেটের মধ্যে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কোনও জায়গা নেই।’‌ 

এদিকে, টিম ইন্ডিয়ার এশিয়া কাপের দল নিয়ে খুশি নন হরভজন সিং। মহম্মদ সিরাজের হয়ে সওয়াল করেন প্রাক্তন স্পিনার। অ্যান্ডারসন–তেন্ডুলকার ট্রফিতে অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে দলে নেওয়া উচিত ছিল বলে দাবি করেন ভাজ্জি। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী সিরাজ। ৯ ইনিংসে ২৩ উইকেট তুলে নেন। তা সত্ত্বেও জসপ্রীত বুমরা, অর্শদীপ সিং এবং হর্ষিত রানাকে বেছে নেয় নির্বাচক মণ্ডলী। ২০২৪ টি–২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন সিরাজ। গৌতম গম্ভীর দায়িত্ব নেওয়ার পর লাল বলের ক্রিকেটে ফোকাস করেন। টি–২০ দলে আর সুযোগ পাননি। হরভজন মনে করেন, সিরাজ থাকলে ভারতীয় বোলিং আরও শক্তিশালী হত। ভাজ্জি বলেছেন, ‘‌আমার মনে হয় সিরাজকে দলে রাখা উচিত ছিল। ইংল্যান্ড সিরিজে সিরাজ খুবই ভাল বল করছে। মানছি ও ইংল্যান্ডে প্রচুর বল করেছে। তবে যথাযথ বিশ্রামও পেয়েছে। তাই ওকে নেওয়াই যেত। ও থাকলে দলের বোলিং আরও শক্তিশালী হত। সিরাজ একটা এক্স ফ্যাক্টর নিয়ে আসে। সেটা মিস করবে ভারতীয় দল।’‌