আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরাট নজিরের সামনে রবীন্দ্র জাদেজা।‌ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি স্যার গারফিল্ড সোবার্সকে ছুঁয়ে ফেলার হাতছানি রয়েছে ভারতীয় অলরাউন্ডারের সামনে। ইংল্যান্ডের মাটিতে ছয় নম্বর বা তারও পরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ভিজিটিং ব্যাটার হিসেবে ১০০০ রান পেরিয়ে যাবেন জাদেজা। লর্ডসে হারলেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেন। একা কুম্ভ রক্ষা করেন। কিন্তু পার্টনারের অভাবে দলকে বৈতরণী পার করাতে পারেননি। প্রথমে যশপ্রীত বুমরা, পরে মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে লড়লেও শেষরক্ষা করতে পারেননি জাদেজা। ২২ রানে জেতে ইংল্যান্ড। 

ইংল্যান্ডে ৬ থেকে ১১ নম্বর ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান জাড্ডুর। ইংরেজদের ডেরায় ১৪ টেস্ট এবং ২৭ ইনিংসে তাঁর রান ৯৪২। গড় ৪০.৯৫। একটি শতরান এবং সাতটি অর্ধশতরান রয়েছে। সর্বোচ্চ রান ১০৪। আর মাত্র ৫৮ রান করলেই স্যার সোবার্সের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করবেন। যা যেকোনো অলরাউন্ডার নিজের নামের পাশে চাইবে। ইংল্যান্ডে খেলা লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হিসেবে সেরা সোবার্স। ১১ টেস্ট এবং ১৬ ইনিংসে তাঁর রান ১০৯৭। গড় ৮৪.৩৮। চারটে শতরান এবং পাঁচটি অর্ধশতরান রয়েছে। সর্বোচ্চ রান ১৭৪। শেষ চার ইনিংসে পরপর অর্ধশতরান জাদেজার। চলতি সিরিজে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান ভারতীয় অলরাউন্ডারের। ছয় ইনিংসে তাঁর রান ৩২৭। গড় ১০৯। সর্বোচ্চ রান ৮৯। ব্যাট হাতে সফল হলেও বোলিংয়ে খুব বেশি নজর কাড়তে পারেননি। মাত্র তিন উইকেট নেন। আগের টেস্টে ৭০০০ আন্তর্জাতিক রান সম্পূর্ণ করেন। বর্তমানে ৩৬১ ম্যাচ ৩০২ ইনিংসে তাঁর রান ৭০১৮। গড় ৩৩.৪১। রয়েছে চারটে শতরান এবং ৩৯টি অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ রান ১৭৫। তারমধ্যে সবচেয়ে সফল লাল বলের ক্রিকেটে। ৮৩ টেস্টে তাঁর রান ৩৬৯৭। গড় ৩৬.৯৭। রয়েছে চারটে শতরান এবং ২৬টি অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ ১৭৫। 

লর্ডসে পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে ভারত ৪ উইকেট হারানোর পর থেকেই আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। হারের ভয় প্রবেশ করে শুভমন গিলদের শিবিরে। দিনের শুরুতে জয়ের জন্য ১৩৫ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। হাতে ছিল ৬ উইকেট। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সেই টার্গেটও বিশাল মনে হয়। তারপর একাই কুম্ভ রক্ষা করেন রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথমে যশপ্রীত বুমরা, পরে মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু শেষমেষ তীরে এসে তরী ডোবে। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় লর্ডস টেস্ট। ৭৪.৫ ওভারে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ২২ রানে হারেন শুভমন গিলরা। জাদেজার আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও দলকে জেতাতে পারেননি। ভারতীয় অলরাউন্ডারের জন্য সমবেদনা ছেয়ে যায় নেটমাধ্যমে। কিন্তু ঘুরিয়ে তাঁর ঘাড়েও দোষ চাপান সুনীল গাভাসকর। তিনি মনে করেন, পার্টনারশিপ গড়তে না পারাই হারের অন্যতম কারণ। ৬০-৭০ রানের জুটি পার্থক্য গড়ে দিতে পারত। সানি বলেন, '৬০-৭০ রানের পার্টনারশিপ পার্থক্য গড়ে দিতে পারত। ভারতের সেটা হয়নি। জো রুট এবং শোয়েব বশির বল করার সময় জাদেজা সুযোগ নিতে পারত। তবে ওকে ফুল মার্কস দিতে হবে।' লর্ডস টেস্ট ভুলে এবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সিরিজে সমতা ফেরাতে নামবে টিম ইন্ডিয়া।