আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাই সুদর্শনের প্রশংসায় ভারতের প্রাক্তন অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ম্যানচেস্টারে সাই সুদর্শন ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর এই ইনিংস প্রশংসিত হয় সর্বত্র। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ার পরে তাঁকে প্রথম একাদশে আর রাখা হয়নি পরের দুটো টেস্টে। কিন্তু অভিজ্ঞ করুণ নায়ার রান না পাওয়ায় ম্যানচেস্টারে ফের সাই সুদর্শনের শরণাপন্ন হয় ভারতীয় শিবির। সাই সুদর্শন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন।
আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সেই কারণেই ইংল্যান্ডগামী বিমানে উঠে পড়েন সাই সুদর্শন। সমালোচকরা বলতে শুরু করেন, আইপিএলের পারফরম্যান্সকেই যদি মান্যতা দেওয়া হয়, তাহলে শ্রেয়স আইয়ারই বা নন কেন! শ্রেয়স আইয়ার দেশে। সাই সুদর্শন ইংল্যান্ডে। ম্যানচেস্টারে সুদর্শনের ইনিংস দেখে অশ্বিনের মনে পড়ে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটের 'দ্য ওয়াল'কে। মনে পড়ে যাচ্ছে হাল আমলের চেতেশ্বর পূজারাকে। সাই সুদর্শনের ইনিংসে দ্রাবিড় ও পূজারার দৃঢ়তা খুঁজে পেয়েছেন অশ্বিন।
আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন 'কাশ্মীরের পোলার্ড', শচীনের জার্সি পরে ৭৭ বলে করলেন ২৩২ রান
ম্যানচেস্টারের আকাশ ছিল মেঘলা। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। যশস্বী জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল ফিরে যাওয়ার পরে ভারত সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল। ইংল্যান্ড ম্যাচের উপরে চেপে বসতেই পারত। কারণ রক্তের স্বাদ ততক্ষণে পেয়ে গিয়েছিল স্টোকসের দল। এর মধ্যেই ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল কোনও শট না খেলে বেন স্টোকসের বলে এলবিডব্লিু হয়ে যান। সাই সুদর্শন একদিকের উইকেটে দাঁত কামড়ে পড়ে থাকেন। তিন ঘণ্টা তিনি ব্যাট হাতে ইংরেজ বোলারদের বিষ শুষে নেন।

একসময়ে তিনে নেমে রাহুল দ্রাবিড় ও চেতেশ্বর পূজারা ভারতের ইনিংসকে দৃঢ়তা দিয়েছেন। ভাঙনের মুখে দাঁত কামড়ে পড়ে থেকেছেন। বড় রান করেছেন। প্রতিপক্ষের গতিদানবদের পরীক্ষা নিয়েছেন। তামিলনাড়ুর সাই সুদর্শনের ওই ঘণ্টা তিনেকের ইনিংসের মধ্যে যেন নতুন করে ফুটে উঠলেন দ্রাবিড় ও পূজারা। অশ্বিন ইউটিউবে বলেছেন, ''আমরা তিন নম্বরে রাহুল দ্রাবিড় ও চেতেশ্বর পূজারাকে ব্যাট করতে দেখেছি। সাই সুদর্শনও ওদের মতো দৃঢ়তা দেখিয়েছে। বল ছেড়েছে। ভাল উইকেটে বলের সঙ্গে সন্ধি করেছে সাই। রান করার অধিকার অর্জন করেছে বলা যায়।''
সাই সুদর্শন অবশ্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি। যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে সেঞ্চুরি পাওয়াটা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু মনোসংযোগ ভেঙে যাওয়ায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে আর পৌঁছনো হয়নি সাই সুদর্শনের। সেঞ্চুরি করতে পারলে ওই ৬১ রানের ইনিংস আরও দাম পেত। আরও মর্যাদা পেত। সাই সুদর্শন হয়তো টেস্ট ফরম্যাটে নিজের জায়গা পাকা করেও ফেলতে পারতেন। সুদর্শন সেঞ্চুরি না পাওয়ায় অশ্বিন হতাশ।

তিনি সবসময়ে সাই সুদর্শনের সাফল্য কামনা করে এসেছেন। এমন এক প্রতিভার সেঞ্চুরি হাতছাড়া তাই অশ্বিনকে পীড়িত করে। সুদর্শনের রানের খিদে দেখে অশ্বিন মনে করছেন এই তরুণ ক্রিকেটার লম্বা রেসের ঘোড়া। সাই সুদর্শনের সামনে পড়ে রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। ভারতীয় ক্রিকেটে দ্রাবিড়ের মতো মহীরূহ হয়ে উঠুন সাই সুদর্শন, এমনটাই চান অশ্বিন।
আরও পড়ুন: কলকাতা লিগে গড়াপেটার ছায়া, নির্বাসিত দুই ক্লাবের কোচ-ফুটবলার
