আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহেন্দ্র সিং ধোনি নয়, সর্বকালের সেরা উইকেটকিপার হিসেবে সৈয়দ কিরমানিকে বেছে নিলেন আজহারউদ্দিন। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। পাশাপাশি স্পিনের বিরুদ্ধেও অনবদ্য। কিরমানির আত্মজীবনী 'স্টাম্পড: লাইফ বিহাইন্ড অ্যান্ড বিয়ন্ড দ্য টোয়েন্টি টু ইয়ার্ডস' প্রকাশের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। আজহার বলেন, 'ও বিশ্বের একনম্বর উইকেটকিপার। এরকম উইকেটকিপার এর আগে জন্মায়নি। চারজন স্পিনারের বিরুদ্ধে উইকেটকিপিং করা সহজ নয়। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে একাধিক ভাল ক্যাচ নেয়। কপিল যে ম্যাচে ১৭৫ রান করে, সেই ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ ২৪ রান করে। এই ইভেন্টে যোগ দিতে পেরে আমি খুশি। ও দীর্ঘজীবী হোক। সবার ওর বই পড়া উচিত এবং উপভোগ করা উচিত।' 

১৯৮৩ বিশ্বকাপে ১২টি ক্যাচ নেন কিরমানি। দুটো স্ট্যাম্প আউট করেন। তার আগে একমাত্র ছিলেন জেফ ডুজন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিপার ১৫টি ক্যাচ এবং একটি স্ট্যাম্পিং করেন। ক্রিকেটজীবনে কিরমানির শিকার ২৩৪। ভারতীয় উইকেটকিপারদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে। প্রথমে এমএস ধোনি। তাঁর শিকার ৮২৯। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে নয়ন মোঙ্গিয়া (২৬১) এবং ঋষভ পন্থ (২৪৪)। আন্তর্জাতিক তালিকায় সবার আগে মার্ক বাউচার। তাঁর শিকার ৯৯৮। দ্বিতীয় স্থানে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। তাঁর শিকার ৯০৫। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত দেশের হয়ে খেলেন কিরমানি। ১৩৭ ম্যাচে ৩১৩২ রান করেন। তারমধ্যে রয়েছে দুটো শতরান, ১২টি অর্ধশতরান। ধোনিকে অগ্রাহ্য করে, কপিল দেবের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যকেই সেরা বাছলেন। একই ইভেন্টে মহম্মদ সিরাজেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফিতে নিজের শহরের বোলারের বোলিং দেখে অভিভূত ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। আজহার বলেন, 'আমি সিরাজের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। ও খুব ভাল বল করেছে। আমি ওকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আশা করছি ও আরও উন্নতি করবে এবং এই পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখবে।' পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী সিরাজ। মোট ২৩ উইকেট নেন। সবচেয়ে বেশি ওভারও বল করেন। পাঁচ টেস্টে মিলিয়ে মোট ১৮৫.৩ ওভার বল করেন। পাঁচটি টেস্টেই খেলেন। এর আগেও বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে পাঁচটি টেস্টেই খেলেন হায়দরাবাদি পেসার। 

ইংল্যান্ড সিরিজের সুবাদে আইসিসি টেস্ট ব়্যাঙ্কিংয়ে বিশাল উন্নতি করেন মহম্মদ সিরাজ। ওভাল টেস্টে ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পুরস্কার পান হায়দরাবাদের পেসার। কেরিয়ারের সেরা ব়্যাঙ্কিং পঞ্চম টেস্টের নায়কের। আগের সপ্তাহে টেস্ট ক্রমতালিকা প্রকাশিত করে আইসিসি। তাতে বোলারদের তালিকায় ১৫ নম্বরে রয়েছেন সিরাজ। ওভালে ৯ উইকেট তাঁকে ১২ ধাপ এগিয়ে দেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে নেন পাঁচ উইকেট। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারতীয় দল। শেষ দিন ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। ভারতের দরকার ছিল ৪ উইকেট। তারমধ্যে তিন উইকেট তুলে নেন সিরাজ। ম্যাচের সেরাও হন তিনি। তবে শচীন তেন্ডুলকরের চোখে সিরিজ সেরা বলে সিরাজকে ছাপিয়ে গিয়েছেন আকাশ দীপ। দ্বিতীয় টেস্টে বাংলার পেসারের জো রুটকে করা বলকে সেরা বাছেন মাস্টার ব্লাস্টার।