আজকাল ওয়েবডেস্ক: আত্মীয় স্বজনদের সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে হজম করতে হয়েছিল অসম্মান। বন্ধুর কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছিলেন। নীতীশ রেড্ডির বাবা মুত্যালা রেড্ডিকে চোখের জল পর্য়ন্ত ফেলতে হয়েছিল।

১২ বছরের নীতীশ সব দেখেছিলেন। নিজের মনে মনেই শপথ নিয়েছিলেন। একদিন তাঁর ব্যাট গর্জে উঠবে। সেদিন পরিবারের সব দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যাবে। সুবিশাল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বসে ছেলের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি দেখার পরে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি নীতীশের বাবা । তিনি কেঁদে ফেলেন। উপরোক্ত ওই ঘটনাগুলো না ঘটলে আজকের নীতীশকে বোধহয় পেত না দেশ। 

নীতীশের বাবা মনে করতেন তাঁর ছেলে স্পেশাল। ছেলের ক্রিকেটের যেন কোনও ক্ষতি না হয়, তাই চাকরিতে ট্রান্সফার নিয়ে উদয়পুরে যেতে চাননি মুত্যালা। ভিআরএস নিয়ে নেন। কারণ নীতীশের বাবা বুঝতে পেরেছিলেন, উদয়পুরে গেলে ছেলের ক্রিকেট কোচিং ঠিকঠাক হবে না। ক্ষতিগ্রস্ত হবে নীতীশের ক্রিকেট।  

ভিআরএস নেওয়ায় যে টাকা পেয়েছিলেন, তা থেকে ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন নিজের ব্যবসায়। কিন্তু সেখানেও বিধি বাম। নীতীশের বাবার এক বন্ধু টাকা ধার নিয়ে আর টাকাই ফেরত দেননি তাঁকে। ফলে প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল মুত্যালা রেড্ডিকে, তাঁর পরিবারকে। 

আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে এর জন্য অসম্মানিত হতে হয়েছিল নীতীশ রেড্ডির বাবাকে। তারকা বনে যাওয়া নীতীশ রেড্ডি একবার বলেছিলেন, ''সেই সময়কার অনেক ঘটনাই মনে আছে আমার। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, দেশের জার্সিতে খেলতে নামলে বাবার মর্যাদা বাড়বে। আমি সেই শপথই নিয়েছিলাম তখন থেকে।'' 

লড়াইয়ের আরেক নাম নীতীশ রেড্ডি। মেলবোর্নে বাবার অসম্মানের জবাব দিলেন। সেই সঙ্গে দেশকেও রক্ষা করলেন। সংকল্পের আরেক নাম যে নীতীশ রেড্ডি।