আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওয়াংখেড়েতে ছক্কা মেরে ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১৯৮৩ সালের ২৮ বছর পরে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। শ্রীলঙ্কার নুয়ান কুলশেখরকে ছক্কা মেরে ধোনির বিশ্বজয়ের মুহূর্ত এখনও স্মরণ করেন ক্রিকেটপাগলরা। 

শচীন রমেশ তেন্ডুলকরের শেষ ম্যাচ ছিল এই মাঠেই। মাস্টার ব্লাস্টারের সামনে এই ওয়াংখেড়েতেই পঞ্চাশ-তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকান বিরাট কোহলি। 

সেই ঐতিহাসিক ওয়াংখেড়েই এবার নতুন রেকর্ড গড়ল। নাম তুলে ফেলল গিনেস বুকে। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ওয়াংখেড়ের ৫০-তম জন্মদিনে ১৪,৫০৫টি লাল ও সাদা ক্রিকেট বল দিয়ে একটি বাক্য বানিয়েছে। আর এর ফলে গিনেস বুকে নাম তুলেছে। 

‘ফিফটি ইয়ার্স অব ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম’, এটি লিখতেই ব্যবহার করা হয়েছে এতগুলো ক্রিকেট বল। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট অজিঙ্কে নায়েক বলেছেন, ''ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ১৪,৫০৫টি সাদা ও লাল বল দিয়ে বানানো বাক্য গিনেস বুক অব রেকর্ডে জায়গা পেয়েছে।''

অজিঙ্কে নায়েক আরও বলেন, ''এই মাঠে হওয়া প্রথম টেস্টের ৫০-তম বার্ষিকী উদ্‌যাপনে ভারতের প্রয়াত অলরাউন্ডার একনাথ সোলকার ও মুম্বইয়ের প্রয়াত প্রাক্তন  ক্রিকেটারদের উৎসর্গ করছি।'' 

১৯৭৫ সালের ২৩-২৯ জানুয়ারি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। একনাথ সোলকার সেঞ্চুরি করেছিলেন। 

ওয়াংখেড়েতে প্রথম ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৭ সালে। ২০১২ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি।  

যে বলগুলো দিয়ে বাক্য লেখা হয়েছিল, সেই বলগুলোই স্কুল, ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উঠতি ক্রিকেটারদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হবে। এই রেকর্ড থেকে তারা যাতে অনুপ্রেরণা পায়, আরও রেকর্ড গড়ার দিকে এগোয়, সেই কারণেই তাদের হাতে বল তুলে দেওয়া হবে।