আজকাল ওয়েবডেস্ক: কারোর পৌষ মাস, কারোর সর্বনাশ। জিরো পন্থের দিনই হিরো রাহুল। তাও আবার লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে। মঙ্গলবার রাতে লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচে নির্যাস এটাই। এককালীন ঘরের ছেলে লখনউয়ের মুখের গ্রাস কেড়ে নিল। ঠিক এক বছর আগে এই মাঠে দাঁড়িয়েই প্রকাশ্যে কেএল রাহুলকে গালমন্দ করেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। সেদিন মাথা নত করে শুনেছিলেন তৎকালীন লখনউয়ের অধিনায়ক। বছর ঘুরতেই তার জবাব এল ব্যাটে। তাঁকে ছেড়ে ২৭ কোটিতে ঋষভ পন্থকে কিনেছে এলএসজি। তাঁদের এই সিদ্ধান্ত যে কতটা ভুল, চোখে আঙুল দিয়ে আরও একবার দেখিয়ে দিলেন কেএল রাহুল। এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে ওয়ান ডাউনে নামেন রাহুল। দিল্লিকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৪২ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত রাহুল। ইনিংসে ছিল ৩টি ছয় এবং চার। 

প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান তোলে লখনউ। ৩৩ রানে চার উইকেট নেন বাংলার মুকেশ কুমার।

জবাবে ১৩ বল বাকি থাকতেই ১৭.৫ ওভারে ৮ উইকেটে জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। লখনউয়ের হয়ে আইডেন মার্করাম (৫২) এবং মিচেল মার্শ (৪৫) ছাড়া সবাই ব্যর্থ। শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন আয়ুশ বাদোনি (৩৬)। কিন্তু ব্যর্থ ঋষভ পন্থ। চলতি আইপিএলে পুরোনো দল দিল্লির বিরুদ্ধে দুই ম্যাচেই শূন্য। এদিন কেন সাত নম্বরে নামলেন তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। একাই বিপক্ষের ইনিংস শেষ করে দেন মুকেশ। বাংলার পেসারের শিকার মিচেল মার্শ, আব্দুল সামাদ, আয়ুশ বাদোনি এবং ঋষভ পন্থ। প্রত্যেকটাই ভাল উইকেট। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন অভিষেক পোড়েল। এদিন নবাবের শহর দেখে দুই বাংলার ক্রিকেটারের দাপট। বল হাতে মুকেশ, ব্যাট হাতে অভিষেক। ৩৬ বলে ৫১ রান করেন বাংলার উইকেটকিপার ব্যাটার। তাতে ছিল ১টি ছয় এবং ৫টি চার। রান পাননি করুণ নায়ার (১৫)। বাকি কাজটা সারেন রাহুল। তাঁকে সঙ্গত দেন অক্ষর প্যাটেল। ৩৪ রানে অপরাজিত দিল্লির অধিনায়ক। তারমধ্যে রয়েছে চারটে ছক্কা।