আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আগেই ছিটকে যায় মহমেডান স্পোর্টিং। বাংলার ফুটবলের মান রক্ষার দায়িত্ব মোহনবাগানের হাতে। শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে জামশেদপুরে পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে নামবে সবুজ মেরুন। কমজোরী প্রতিপক্ষের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পচা শামুকে পা কাটুক চাইছে না হোসে মোলিনা। অবশ্য দুই দলের কোয়ার্টার ফাইনালের ব্যাকড্রপ ভিন্ন ছিল। শিলংয়ে লাজংয়ের ঘরের মাঠে খেলতে হয়েছে লাল হলুদকে। যার ফলে কিছুটা বাড়তি সুবিধা পায় প্রতিপক্ষ। মোহনবাগান-পাঞ্জাব ম্যাচ নিউট্রাল ভেন্যুতে। তাই কোনও দলেরই বাড়তি সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কাশ্মীরের ডাউনটাউন এফসির বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে বিরাট ব্যবধানে জেতে মোহনবাগান। সেটা ছিল কলকাতায় দ্বিতীয় ইনিংসে মোলিনার প্রথম ম্যাচ। জন্মদিনের গিফট হিসেবে কোচকে বিশাল জয় উপহার দেন কামিন্সরা। গ্রুপের শেষ ম্যাচ ছিল ডার্বি। কিন্তু পর্যাপ্ত পুলিশ না দিতে পারার জন্য বাতিল হয়ে যায়। একটা লম্বা বিরতির পর মাঠে নামবে বাগান। বিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন সবুজ মেরুনের স্প্যানিশ কোচ। মোলিনা বলেন, 'এইধরনের টুর্নামেন্টে সব ম্যাচই জিততে হয়। যা মোটেই সহজ নয়। ওদের দল ভাল। আমাদের ভাল খেলতে হবে। ওদের হারানো সহজ নয়। তবে আমার নিজের দলের ওপর বিশ্বাস আছে। আমরা ভাল খেলছি। আশা করছি জিততে পারব।'
জামশেদপুরে পৌঁছে হোটেল, মাঠ নিয়ে সমস্যায় পড়ে মোহনবাগান। তবে যাবতীয় প্রতিকূলতা সরিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবলে সেমির ছাড়পত্র সংগ্রহ করাই লক্ষ্য। পাঞ্জাব দলের বিদেশি ভাল। দীর্ঘদিন ভারতীয় ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে ভাবতে চান না বাগান কোচ। মোলিনা বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য ভাল ফুটবল খেলা। ম্যাচের দখল আমাদের প্লেয়ারদের হাতে রাখতে হবে। আক্রমণ করতে হবে। আমি নির্দিষ্ট একজন বা দু'জনকে নিয়ে ভাবছি না। আমাদের দল হিসেবে পাঞ্জাবকে হারাতে হবে। আমাদের এখন প্রাক মরশুম প্রস্তুতি চলছে। প্রত্যেক ম্যাচই প্রস্তুতি ম্যাচ। আসল মরশুম শুরু হওয়ার পর নিজেদের সেরা ছন্দে থাকতে হবে। নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। আশা করছি আইএসএলের আগে দল সেরা ছন্দে চলে আসবে।' পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জেমি ম্যাকলারেনকে পাওয়া যাবে না। দলের সঙ্গে জামশেদপুর যাননি অজি বিশ্বকাপার। গ্লেন মার্টিন্স, আশিক কুরুনিয়নও নেই। চলতি মরশুমে সবুজ মেরুন জার্সিতে প্রথম নামবেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। গোলের জন্য দিমি-কামিন্স জুটিই ভরসা মোলিনার।
