আজকাল ওয়েবডেস্ক: এসিএল-২-এর শুরু ভাল হয়নি মোহনবাগানের। তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব সাহাল এফকে-র কাছে প্রথম ম্যাচেই হার মানে হোসে মোলিনার সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। স্প্যানিশ মায়েস্ত্রোর স্ট্র্যাটেজি নিয়ে সমালোচনা হয়। কেন তিন বিদেশি খেলোয়াড়কে নিয়ে তিনি শুরু করলেন, তা নিয়ে মোলিনার দিকে ধেয়ে আসে সমালোচনার ঝড়।  

মোহনবাগানের পরবর্তী ম্যাচ  ইরানের ক্লাব সেপাহানের সঙ্গে। ৩০ সেপ্টেম্বর ইরানে হবে সেই ম্যাচ। ইরানের ক্লাবের বিরুদ্ধে নামার আগে কিন্তু ভিসা সমস্যায় সবুজ-মেরুনের চার বিদেশি ফুটবলার-জেসন কামিন্স, দিমিত্রি পেত্রাতোস, টম অলড্রেড ও জেমি ম্যাকলারেন। ইরানে যাওয়ার ভিসা এই চার ফুটবলার পাবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।  

আরও পড়ুন: আমিরশাহি ম্যাচ খেলা নিয়ে মুখ খুললেন পাক পেসার, ভারত ম্যাচের আগে যা বললেন শুনলে চমকে যাবেন...

গতবছরও ইরানে খেলতে যাওয়ার আগে ফুটবলারদের ভিসা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অশান্ত পরিস্থিতির জন্য মোহনবাগান আর যায়নি ইরানে। 

কলকাতায় এবার যখন পুজো, সেই সময়ে মোহনবাগান খেলতে যাবে ইরানে। সেই ম্যাচের আগেও চার বিদেশি খেলোয়াড় আদৌ ভিসা পাবেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। 

প্রথম ম্যাচে আহাল এফকে-র বিরুদ্ধে বিদেশি ফুটবলার নামানো নিয়ে স্প্যানিশ মায়েস্ত্রোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। কামিন্স, আলবার্তো ও অলড্রেডকে নিয়ে শুরুটা করলেও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাকলারেন, রবসনকে নামান মোলিনা। কিন্তু পেত্রাতোসকে নামাননি স্প্যানিশ কোচ। যা নিয়ে পেত্রাতোস ও মোলিনার মধ্যে ব্যক্তিত্বের সংঘাত হয়েছে বলে জল্পনা।  যদিও মোলিনা কিন্তু প্রথম ম্যাচে হার নিয়ে ভেঙে পড়ছেন না। ঘুরে দাঁড়াবেন বলেই বিশ্বাসী মোলিনা। কেন হাতে ছয় বিদেশি থাকা সত্ত্বেও এই কম্বিনেশনে দল নামালেন? অদ্ভুত যুক্তি খাঁড়া করেন বাগান কোচ।

মোলিনা বলেন, ''আমার যেটা ভাল কম্বিনেশন মনে হয়েছে, যারা ম্যাচ জেতাতে পারবে, আমি সেই দল খেলিয়েছি।'' ডুরান্ড কাপের পর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। এটা যে কিছুটা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, মেনে নেন বাগান কোচ। তবে পাশাপাশি দাবি করেন, একটা গোল হলেই ম্যাচের রেজাল্ট অন্যরকম হতে পারত।''  

দলের ফিটনেস সমস্যার কথা স্বীকার করেননি বাগান কোচ। ঘরের মাঠে হারলেও হতাশ হচ্ছেন না। পরবর্তী প্রতিপক্ষ আরও কঠিন। ইরানের সেপাহান এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ। কিন্তু আশা ছাড়ছেন না ভারতসেরা কোচ। মোলিনা বলেছিলেন, ''কঠিন ম্যাচ ছিল দুই দলের জন্যই। প্রথমার্ধে চেষ্টা করেছিলাম গোল করার। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা বেশি ভাল খেলেছি। ওরাও কিছু সুযোগ তৈরি করেছে। তারমধ্যে একটা গোল হয়ে গেছে। বিশাল ভাল কিছু সেভ করেছে। এএফসি কখনও সোজা নয়। আমরা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব প্রতিপক্ষ না দেখে। পরবর্তী ম্যাচ ইরানে। আমরা হাল ছাড়ি না। জেতার চেষ্টা করব। লড়াই করব। আমরা আজকে জিততে পারতাম। একটা গোল করতে পারলেই ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো। আমি দলের খেলায় খুশি। হয়তো সেরাটা ছিল না। মাঝে একটা লম্বা বিরতি ছিল। ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। আমরা পরের ম্যাচে জেতার চেষ্টা করব।'' কিন্তু এই বিদেশিরা যদি যেতে না পারেন, তাহলে মোহনবাগানের কাজটা যে আরও কঠিন হয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য।  

আরও পড়ুন: পাক ফিল্ডারের ছোড়া বলে আহত আম্পায়ার, আক্রম যা বললেন, তাতে তুমুল সমালোচিত প্রাক্তন অধিনায়ক ...