আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডার্বিতে কি মোহনবাগান সমর্থকরা মাঠ ভরাবে? শিল্ড ফাইনালের আগের দিন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। মোহনবাগান সভাপতি দেবাশিস দত্ত এবং সচিব সৃঞ্জয় বসুর দাবি, দলের পাশে থাকবে সাপোর্টাররা। যুবভারতী ভরবে সবুজ মেরুন ফ্যানে। শুক্রবার সন্ধেয় মোহনবাগান ক্লাবে সাপোর্টারদের সঙ্গে দেখা করেন বাগানের দুই শীর্ষকর্তা। প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সিইও বিনয় চোপড়াও থাকবেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। ক্লাবের দুই শীর্ষকর্তা জানান, কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব তাঁরাই করেন। মোহনবাগানের বেশ কয়েকটা ফ্যানস ক্লাবের সদস্যরা এদিনের বৈঠকে যোগ দেয়। তাঁদের দাবি জানায়। গোটা বিষয় নিয়ে সুপার জায়ান্টসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তবে আপাতত শিল্ড ফাইনালে দলের পাশে থাকার অনুরোধ জানান মোহনবাগানের দুই শীর্ষকর্তা। তাঁদের বিশ্বাস, যুবভারতীতে হাজির থাকবে সমর্থকরা। 

দেবাশিস দত্ত বলেন, 'সমর্থকদের কিছু বক্তব্য ছিল। এগুলো থাকবেই। হাসি, কান্না নিয়েই ফুটবল। সমর্থক বাদ দিয়ে ক্লাব হতে পারে না। আমি আর সৃঞ্জয় ওদের সঙ্গে বসেছিলাম। ওদের অভিযোগ এবং কষ্ট আমরা বোঝার চেষ্টা করলাম। ওরা কাল আসবে। দলকে সমর্থন করবে।টিমের পাশে থাকবে। সবরকমভাবে ক্লাবকে সাপোর্ট করবে। সমর্থকরা সবসময় মোহনবাগানের জয় চায়। একজন সমর্থককে নিতে আসুন, যে কাল মোহনবাগানের হার চায়। ক্ষোভ, দুঃখ, অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু মোহনবাগানের জয়, ট্রফি পাওয়া সবার ওপরে। এই চাহিদায় কোনও সমঝোতা নেই।' সচিব সৃঞ্জয় বসু বলেন, 'আমরা ক্লাব এবং কোম্পানির হয়ে সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। কোম্পানি থেকেও বলা হয়েছিল। ফ্যানস ক্লাবের কিছু বক্তব্য আছে। সেটা আমরা শুনেছি। হয়তো আগের দিনের ঘটনা অতিরিক্ত মাত্রায় চলে গিয়েছিল। ওরাও বুঝেছে ক্লাবের পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমাদের প্রধান লক্ষ্য আইএফএ শিল্ড ফাইনাল জেতা। সবাই ক্লাবের সঙ্গেই আছে। ক্ষোভ, দুঃখ নিয়েই আমরা চলব। তবে সেটা কোনওদিনই ফুটবলের ওপরে যাবে না।' 

এই নিয়ে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবকে ট্রোল করছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। যা নিয়ে একেবারেই ভাবছেন না বাগান সভাপতি। দেবাশিস দত্ত বলেন, 'খেলায় হার-জিত আছে। আগে কাল জেতা দরকার। যা ইচ্ছে ট্রোল করুক। বলটা যেন ওদের গোলে ঢোকে। আর কিছু দরকার নেই। ওরা ট্রোল করে ফাটিয়ে দিক। আমরা ট্রফি জিতলেই হল।' শুক্রবার সকালে যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে অনুশীলন করে ইস্টবেঙ্গল। তাঁদের দাবি, সংলগ্ন পাঁচতারা হোটেল থেকে তাঁদের প্র্যাকটিসের ছবি তোলা হয়। ঘটনাচক্রে, সেই হোটেলেই আছেন হেড কোচ হোসে মোলিনা সহ অন্যান্য বিদেশিরা। যা নিয়ে কটাক্ষ করেন বাগান সচিব। সৃঞ্জয় বসু বলেন, 'যদি এমন হয় তাহলে ওরা ঘর বন্ধ করে প্র্যাকটিস করতে পারে। এমন স্ট্র্যাটেজি ওদের যে ঘর বন্ধ করে প্র্যাকটিস করুক।' শিল্ডের গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচ বয়কট করেছিল মোহনবাগান সমর্থকরা। মাঠে গুটিকয়েক সাপোর্টার ছিল মাত্র। শিল্ড ডার্বিতে মাঠ ভরানোর অনুরোধ করেন হেড কোচ হোসে মোলিনা এবং অধিনায়ক শুভাশিস বসু।