আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপের ইতিহাসে এবারের টুর্নামেন্ট সবচেয়ে বিতর্কিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হ্যান্ডশেক বিতর্ক থেকে শুরু। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে চাননি সূর্যকুমার যাদবরা। বিতর্ক এখানেই শেষ নয়। চলে এশিয়া কাপের ফাইনাল পর্যন্ত। আরও একবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় ভারত। টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান মহসিন নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে চায়নি ভারতীয় দল। যার ফলে বিজয়ী টিম ইন্ডিয়াকে ট্রফি দেওয়ার হয়নি। এসিসির দুবাইয়ের হেড কোয়ার্টারে রয়েছে ট্রফি। নির্দেশ দেওয়া আছে, চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া ট্রফি সরানো হবে না বা কারোর হাতে তুলে দেওয়া হবে না।
এশিয়া কাপের ফাইনালের পর ট্রফি নিয়ে হাঁটা মারেন মহসিন নাকভি। যা ভালভাবে নেয়নি বিসিসিআই। পরের মাসে আইসিসির বৈঠকে এই প্রসঙ্গ তোলা হবে। শোনা যাচ্ছে, আইসিসির ডিরেক্টরের পদ থেকে সরানো হতে পারে নাকভিকে। বোর্ডের এক সূত্র বলেন, 'পিসিবি বা মহসিন নাকভি কী শাস্তির মুখে পড়ে সেটা দেখতে হবে। বিসিসিআই একটা বিষয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে। ভারতীয় দলকে ট্রফি তুলে দেওয়ার বিষয়ে নাকভির জোর দেওয়া উচিত ছিল না। বিসিসিআইকে ট্রফি পাঠিয়ে দিতে রাজি না হওয়াও তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। কারণ বিসিসিআই আনুষ্ঠানিক সংগঠক।'
ভারতীয় দল তাঁর হাত থেকে ট্রফি না নেওয়ায়, প্রেজেন্টেশন সেরেমনি থেকে ট্রফি নিয়ে হাঁটা মারেন নাকভি। বর্তমানে ট্রফি রয়েছে দুবাইয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সদর দফতরে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানের পাশাপাশি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও নাকভি। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও জঙ্গিহানার পর দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। যার প্রভাব পড়ে ক্রিকেট মাঠেও। বোর্ডের সূত্র আরও বলেন, 'এখনও ট্রফি দুবাইয়ে এসিসির অফিসে আছে। নাকভির নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁর অনুমতি ছাড়া ট্রফি ওখান থেকে সরানো হবে না এবং কারোর হাতে তুলে দেওয়া হবে না। নাকভি নিজে ট্রফি ভারতীয় দল বা বিসিসিআইকে তুলে দিতে চান।' এই বিষয়টি পছন্দ নয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। যার বিরুদ্ধে সরব হয় বিসিসিআই। এশিয়া কাপ জুড়ে ক্রিকেটীয় ঘটনার বাইরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একাধিকবার ঝামেলা হয়। গোটা টুর্নামেন্টে একবারও পাকিস্তানের প্লেয়ারদের সঙ্গে হাত মেলায়নি ভারতীয়রা। রাজনৈতিক অঙ্গভঙ্গি করে একে অপরকে বিদ্রুপ করে দুই দলের ক্রিকেটাররা। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে রাজনৈতিক মন্তব্য করেন নাকভিও।
