আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুম্বইয়ে লিও মেসি শো সুপারহিট। বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইনের পরবর্তী গন্তব্য দিল্লি। 
রাজধানীতে অবশ্য নির্দিষ্ট সময়ে নামতে পারেনি মেসির জেট ফ্লাইট। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার জন্য মেসির ফ্লাইট বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে দিনের বাকি সূচিও বিলম্বিত হতে পারে।  

মুম্বইয়ে দুই খেলার দুই গ্রেটের সাক্ষাৎ হয়েছে। মেসি ও শচীন তেণ্ডুলকর একই মঞ্চে সৌজন্য বিনিময় করেন। 'মাস্টার ব্লাস্টার' লিও-কে শুভেচ্ছা জানান। তাঁর সুস্থতা কামনা করেন। সেই সঙ্গে লুইস সুয়ারেজ ও রড্রিগো দি' পলকেও শুভেচ্ছা জানান মাস্টার। মেসি শচীনের হাতে তুলে দেন তাঁর সই সম্বলিত আর্জেন্টিনার দশ নম্বর জার্সি। শচীনও তাঁর দশ নম্বর জার্সি মেসিকে দেন। 

বাণিজ্য নগরী থেকে এবার মেসি-শো দিল্লিতে। কিন্তু দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকা ছেয়ে ছিল ঘন কুয়াশার চাদরে। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় বিমান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। দিল্লিতে আজই মেসির গোট সফরের শেষ দিন।   

রাজধানীর লীলা প্যালেসে মেসির সঙ্গে 'মিট অ্যান্ড গ্রিট' অনুষ্ঠান রয়েছে। তার পরে চিফ জাস্টিস অফ ইন্ডিয়া, আর্মি চিফ, আর্জেন্টিনার অ্যাম্বাসাডর এবং বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা মেসির। 

এর পরে ফিরোজ শাহ কোটলায় রয়েছে একাধিক অনুষ্ঠান। স্টেডিয়ামে সেলিব্রিটি ফুটবল ম্যাচ হওয়ার কথা। সেখানে সেলিব্রিটিদের সঙ্গে মেসির সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। 

২২ জন বাচ্চাকে নিয়ে ফুটবল ক্লিনিক হবে। লিও মেসি বাচ্চাদের খেলা দেখবেন। খুদে ফুটবলারদের সঙ্গে 'টিকিটাকা' খেলবেন।মেসির সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। সেলিব্রিটি ফুটবল টিমকে পুরস্কার দেবেন এলএম ১০। 

দেশের কৃতি অ্যাথলিটদের সঙ্গে দেখা করবেন মেসি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা ছিল মেসির। কিন্তু মোদি চার দিনের সফরে জর্ডন, ইথিওপিয়া ও ওমানে গিয়েছেন। দিল্লির অনুষ্ঠান শেষে ভারত ছেড়ে মেসি উড়ে যাবেন মায়ামি। শেষ হবে মেসির ভারত পরিক্রমা। 

কলকাতা সফর দিয়ে শুরু হয়েছিল মেসির গোট ট্যুর। কিন্তু সিটি অফ জয়-কে আনন্দের সুরে বেঁধে দিতে পারেননি মেসি। তাঁকে দেখার জন্য, একটু ছোঁয়ার জন্য অত্যুৎসাহী জনতার ভিড় এতটাই ছিল যে দর্শকরা দেখতেই পাননি মেসিকে। মেসি নিজেও বিরক্ত হন। মাত্র পনেরো মিনিট মাঠে ছিলেন বিশ্বজয়ী ফুটবলার। তিনি যুবভারতী ছেড়ে চলে যেতেই দর্শক অসন্তোষ মাত্রা ছাড়ায়। গ্যালারি থেকে উড়ে আসে বোতল। উন্মত্ত জনতার দল মাঠে নেমে আসেন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় স্টেডিয়ামের। 

কিন্তু অন্য শহরগুলোয় শৃঙ্খলিত দর্শকরা মেসি-মায়া উপভোগ করেন। মেসিও সেখানে আনন্দে ছিলেন।