আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেসি জ্বরে কাবু কলকাতা। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই ফুটবলের ম্যাজিশিয়ান পা রাখবেন রাতের কলকাতায়। রাত দেড়টায় দমদম বিমানবন্দরে নামবেন। ১৪ বছর পর শহরে পা রাখবেন লিওনেল মেসি। ২০১১ সালে অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল যুবভারতীতে। ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ফিফার প্রীতি ম্যাচ খেলেন। রাত দেড়টায় দমদম বিমানবন্দরে নামবেন। তারপর হোটেলে বিশ্রাম। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে শুরু হয়ে যাবে অনুষ্ঠান। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে তার প্রস্তুতি। স্টেডিয়াম পরিস্কার করা থেকে শুরু করে ব্যানার, পোস্টার টাঙানো। শুক্রবার দুপুরে ব্যস্ত যুবভারতী। চারিদিকে মেসির ছোট ছোট পোস্টার। মেসির মুখে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা গ্যালারি। যুবভারতীতে সাজ সাজ রব। স্টেডিয়ামের তিন নম্বর গেটের বাইরে দেদারে মেসির পোস্টার, ছবি, জার্সি বিক্রি চলছে। এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে মোহনবাগান এবং ডায়মন্ড হারবার এফসির জার্সি, উত্তরীয়। 

চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে রাখতে দেখা যায় ক্ষুদে ফুটবলারদের। বাংলা ফুটবল অ্যাকাডেমি এবং বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২০-২৫ জন ফুটবলারকে ডাকা হচ্ছে। মেসি যেসব খুদেদের ফুটবল শেখাবে, তাঁদের খুঁটিনাটি নেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই যুবভারতী চত্বর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে। মেসির আগমনের ১২ ঘণ্টা আগে তারই তোড়জোড় চলছে জোরকদমে। ১৪ বছর আগেও কলকাতায় এসেছিলেন মেসি। সেই সময়ের তাৎপর্য আলাদা ছিল। কারণ আর্জেন্টাইন তারকা ম্যাচ খেলেছিলেন। তবে সেবারের সঙ্গে এবারের পার্থক্য একটাই। এবার মেসি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তবে মাত্র কয়েকঘন্টার জন্য কলকাতার আসছেন। সর্বসাকুল্যে ১২ ঘণ্টা কাটাবেন। তারমধ্যে বেশ কয়েকটা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। 

তিন দিনের ঝটিকা সফরে চারটে রাজ্যে যাবেন মেসি। যার শুরু কলকাতা দিয়ে। তারপর হায়দরাবাদ, মুম্বই এবং দিল্লি। শনিবার সকাল সাড়ে ন'টা থেকে সাড়ে দশটা হোটেলেই স্পনসরদের অনুষ্ঠান। সাড়ে দশটা থেকে ভার্চুয়ালি লেকটাউনে নিজের মূর্তি উন্মোচন করবেন। ১১.১৫ নাগাদ যুবভারতীর উদ্দেশে রওনা দেবেন। সাড়ে এগারোটায় যুবভারতীতে উপস্থিত হবেন শাহরুখ খান। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং সৌরভ গাঙ্গুলি। তারপর চলবে সংবর্ধনার পালা। প্লেয়ারদের সঙ্গে পরিচয় সারবেন মেসি, শাহরুখরা। ফুটবল ম্যাজিশিয়ানের পাশাপাশি থাকবেন দুই আর্জেন্টাইন তারকা লুই সুয়ারেজ এবং রডরিগো ডি পল। একঝাঁক আন্তর্জাতিক তারকা থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। বিধাননগর পুলিশ দায়িত্ব থাকলেও, সহযোগিতা করতে তৈরি কলকাতা পুলিশ। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০০ পুলিশকর্মী নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকবে। মঞ্চ তৈরি। এবার মেসির আসার পালা।