আজকাল ওয়েবডেস্ক: জল্পনাই সত্যি হল। শ্রেয়স আইয়ারকে ছেড়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এছাড়াও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মিচেল স্টার্ক, ফিল সল্ট, রহমতুল্লাহ গুরবাজকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ডেডলাইন শেষ হতেই নাইটদের রিটেনশন তালিকা প্রকাশিত হল। প্রত্যাশা মতোই রিটেন করা হয়েছে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, রিঙ্কু সিং এবং বরুণ চক্রবর্তীকে। আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে রাখা হয়েছে হর্ষিত রানা এবং রমনদীপ সিংকে। প্রথমে কেকেআরের রিটেনশন তালিকায় ছিলেন না দ্বিতীয়জন। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভাল পারফরম্যান্সের জন্য রমনদীপকে রেখে দেওয়া হল। অন্যদিকে এদিন দুপুর থেকেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, আন্দ্রে রাসেলকে নাও রিটেন করা হতে পারে। দশ বছর পর ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। গত দুই বছরে আহামরি পারফরমেন্স নেই বড় চেহারার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারের। এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত রাসেলকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বাকিদের রিটেন করার সিদ্ধান্ত আগেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। আইপিএল জয়ী অধিনায়ককে ছেড়ে দেওয়া হলেও, চ্যাম্পিয়ন দলের কোর গ্রুপকে ধরে রাখা হল। 

কেকেআরের কাছে বিশাল দর হাঁকিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। তাঁর এই দাবি মানতে রাজি ছিল না নাইট ম্যানেজমেন্ট। যার ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হলেও ফলপ্রসূ হয়নি। শেষপর্যন্ত আইপিএল জয়ী নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সম্প্রতি তাঁর ফিটনেস, বর্তমান ফর্ম, ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর শ্রেয়সের পিছনে বিশাল অঙ্ক খরচ করতে চায়নি কেকেআর। ফিল সল্ট এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ছেড়ে দেওয়ায় উইকেটকিপার নেই কেকেআরে। অধিনায়কের জায়গাও ফাঁকা। অর্থাৎ কেএল রাহুল এবং ঋষভ পন্থের মধ্যে একজনকে টার্গেট করতে পারে শাহরুখ খানের ফ্রাঞ্চাইজি। দু'জনের মধ্যে একজনকে নেওয়া সম্ভব হলে এক ঢিলেই দুই পাখি মারা যাবে। অধিনায়কত্ব এবং উইকেটকিপিংয়ের সমস্যা একসঙ্গেই মিটে যাবে।