কেরল ব্লাস্টার্স-৩ মহমেডান স্পোর্টিং-০
(ভাস্কর আত্মঘাতী, নোয়া, কোয়েফ)
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশবিদেশের ফুটবলে গোলকিপারের ভুলে দল হেরেছে এমন নজির বহু আছে। গোলকিপারের ভুল গোল হজম করতে হয়েছে দলকে, এমন উদাহরণও রয়েছে।
কিন্তু গোলকিপারের নামে আত্মঘাতী গোল! স্মরণকালের মধ্যে কেউ শুনেছেন বলে মনে হয় না।
এই বিরল ঘটনাই ঘটিয়ে ফেললেন মহামেডান স্পোর্টিংয়ের গোলকিপার বাঙালি গোলকিপার ভাস্কর রায়। কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচে কর্নার থেকে ভাসানো বল না ধরে, ঘুসি মেরে বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন বঙ্গ গোলকিপার। ঠিকঠাক বলে ঘুসি হল না, বিপন্মুক্তও হল না, উলটে সেই বল জড়িয়ে গেল মহামেডানের জালে।
কর্নার থেকে বল ভাসিয়েছিলেন লুনা। পেনাল্টি বক্সের ভিতরে কেরলের কেউ ছিলেন না সেই সময়ে। বলটা গ্রিপ করার অনেক সময় পেয়েছিলেন ভাস্কর। কিন্তু বল গ্রিপ না করে ভাস্কর কেন যে পাঞ্চ করতে গেলেন, তা তিনিই ভাল বলতে পারবেন। তাঁর ঘুসি মারা বল জড়িয়ে গেল মহামেডানেরই জালে। হতাশায় ভাস্করের মাথায় হাত। সাদা-কালো শিবিরের কোচ চের্নিশভ টাচলাইনের ধারে দাঁড়িয়ে হাত-পা ছুড়লেন। শেষপ্রহরী যদি এভাবে গোল হজম করেন, তাহলে কোচ মেজাজ ঠিক রাখেন কী করে? গোলকিপারের ওই মারাত্মক ভুল মহামেডানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়! সোশ্যাল মিডিয়ায় রসিকতা করে কেউ লিখলেন, ''এবারের আইএসএলে প্রথম বার কোনও গোলকিপার গোল করলেন।'' অতনু ভট্টাচার্যের মতো এশিয়ান অলস্টার-খ্যাত গোলকিপার বললেন, ''ওন গোল গোলকিপারের নামে, এমন তো আগে কখনও শুনিনি। এই প্রথম শুনলাম।'' ধারাভাষ্যকাররা বললেন, ''কেরলকে বড়দিনের গিফট দিল গোলকিপার ভাস্কর।''
প্রথমার্ধের খেলা গোলশূন্য থাকার পরে দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটের ওই গোল মহামেডানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিল। উলটে কেরলকে ম্যাচে ফেরাল। ভাস্করের মহাভুলের ১৮ মিনিট পরই দুরন্ত হেডে নোয়া ২-০ করেন। ডান দিক থেকে ভাসানো বলে নোয়ার ছোবল আছড়ে পড়ে সাদা-কালো শিবিরের জালে। দিনটা খারাপ গেল ভাস্কর রায়ের। তিনি শরীর ছুড়ে দিলেও বলের নাগাল পাননি। আর শেষের দিকে কোয়েফের জোরালো শটে কেরল ৩-০ করে ফেলে। পরিবর্ত হিসেবে নেমেই গোল পান তিনি। শেষ পর্যন্ত কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতে নিল। দুঃসময় আর কাটল না মহামেডানের।
