কেরালা ব্লাস্টার্স ২ (গিমিনেজ, নোয়া)
ইস্টবেঙ্গল ০
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুপার কাপের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল শেষ। প্রথম ম্যাচেই কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে হেরে সুপার কাপ থেকে বিদায় নিল লাল হলুদ। ৯০ মিনিটে একপ্রকার বিশ্রাম নিলেন কেরালা গোলকিপার শচীন সুরেশ। একবারের জন্যেও তাঁকে পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারলেন না রিচার্ড, বিষ্ণুরা।
ফর্মে দেখা গেল না দিয়ামানতাকোসকেও। গোটা মরশুম একেবারেই ভাল যায়নি ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএল, এএফসির পর সুপার কাপেই সুযোগ ছিল ভাল পারফর্ম করার। কিন্তু ৯০ মিনিটের জঘন্য ফুটবলে প্রথম ম্যাচ থেকেই বিদায় নিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
অন্যদিকে, টাইট ডিফেন্সের পাশাপশি সমান ভাবে আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে কেরালা। ২৬ এপ্রিল তাঁরা মুখোমুখি হবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। এদিন খেলার শুরু থেকে মাঝমাঠে বল দখল করে রেখেছিল ইস্টবেঙ্গলই। কিন্তু আক্রমণ শানাতে পারছিল না।
তারই সুবিধা নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে একের পর এক লং বল ফেলেন লুনারা। প্রথম সুযোগ আসে পেনাল্টি থেকে। বক্সের ভেতরে ফাউল করে বসেন আনোয়ার। পরিষ্কার পেনাল্টি, কোনও ফুটবলারই তর্কে যাননি। প্রথম সুযোগে প্রভসুখন গিল সেভ দিলেও পরে দেখা যায় তিনি গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। পরের সুযোগে গিমিনেজ আর ভুল করেননি।
গোলার মতো শট গিলের হাতে লাগলেও তা জড়িয়ে যায় গোলে। পিছিয়ে পড়ে গোল শোধের জন্য ইস্টবেঙ্গল মরিয়া হয়ে উঠেছিল। সুযোগও এসেছিল একাধিক। বাঁদিক থেকে বিষ্ণু মাইনাস করলেও মেসি বৌলি, দিয়ামানতাকোস ফিনিশ করতে পারেননি। কেরালার দ্বিতীয় গোল আসে নোয়ার পা থেকে।
ডানদিক থেকে বল নিয়ে ভেতরে ঢুকছিলেন সিদোই। বক্সের বাইরে থেকেই জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন। কিছুই করার ছিল না গিলের। দু' গোলে পিছিয়ে থেকে ইস্টবেঙ্গলের থেকে যে ফুটবলটা দেখার আশায় সমর্থকরা ভিড় করেছিলেন সেটার দেখা মিলল না।
চলতি মরশুমে ৬০% সুযোগ গোলে রূপান্তর করা ডেভিডকে অস্কার যখন নামালেন তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। লাভ হয়নি সল ক্রেসপোকে নামিয়েও। প্রথম ম্যাচেই কেরালার কাছে হেরে মরশুম শেষ করতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। এবারের সুপার কাপ হতে চলেছে কলকাতা ডার্বিহীন।
